• ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের পাশে পুরসভার ভ্যানই এখন ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • সুদীপ্ত কুণ্ডু, হাওড়া: পুরসভার জঞ্জাল সংগ্রহের গাড়িগুলিই এখন ডেঙ্গু মশার আঁতুড়ঘর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিংবা শহরের আনাচে-কানাচে ঢুকে আবর্জনা সংগ্রহ করার তিন চাকার সাইকেল ভ্যানগুলির বড় অংশই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের পাশে। এমন ভানের সংখ্যা প্রায় ৩৫টি। এগুলি সুডার থেকে পেয়েছিল হাওড়া পুরসভা। এই ভ্যানগুলিকে যেসব প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা হয়, তার উপরেই জমে রয়েছে বৃষ্টির জল। এই জলই ডেঙ্গুর আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।    

    হাওড়ার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের পাশেই রয়েছে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামের মূল গেট দিয়ে ঢুকে বাঁ দিকে তাকালেই দেখা যাবে, জঙ্গলাকীর্ণ একটি জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়েছে ৩০-৩৫টি তিন চাকার সাইকেল ভ্যান। জানা গিয়েছে, প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে ওই জায়গায় ভ্যানগুলি কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চারপাশে গজিয়ে উঠেছে ঝোপঝাড়। বড় বড় কালো প্লাস্টিক দিয়ে ভ্যানগুলিকে ঢেকে রাখা হয়েছে। সেখানেই বৃষ্টির জল জমে তৈরি হয়েছে ডেঙ্গুবাহী মশার আদর্শ পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আগে প্রচুর ভ্যান ডাঁই করে রাখা ছিল সেখানে। পরে বেশিরভাগ ভ্যানই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এই বর্ষায় যেভাবে ভ্যানগুলির উপর বৃষ্টির জল জমছে, তাতে এখান থেকে ডেঙ্গু ছড়াতেই পারে’। স্টেডিয়ামের আশপাশের জঙ্গল সাফাই কিংবা জমা জল সরাতে পুরসভার কেউ আসে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

    হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল নাগাদ তিন ধাপে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফে প্রায় ৫০০টি তিন চাকার সাইকেল ভ্যান পাঠানো হয়েছিল। কথা ছিল, প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই গাড়িতে করে জঞ্জাল সংগ্রহ করবেন পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। কিন্তু বর্তমানে পড়ে থাকা এই ভ্যানগুলি কোথায় কাজে লাগানো হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। 

    বিষয়টি নিয়ে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘গত তিন বছরে বেশিরভাগ ভ্যানকেই জঞ্জাল সংগ্রহের কাজে লাগানো হয়েছে। পড়ে থাকা ভ্যানগুলিকে অন্যত্র সরানো হবে। সেখানে যাতে জল না জমে, সেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে’। 
  • Link to this news (বর্তমান)