• শ্রাবণে তারকেশ্বর থেকে ২০ টন অপচনশীল বর্জ্য পাঠানো হল বৈদ্যবাটি প্রসেসিং ইউনিটে
    বর্তমান | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: শুধু শ্রাবণ মাসেই তারকেশ্বর থেকে প্রায় ২০ টন অপচনশীল বর্জ্য পাঠানো হয়েছে বৈদ্যবাটির আরডব্লুএমসি প্রসেসিং ইউনিটে। তারকেশ্বর শহরকে প্লাস্টিক বর্জিত শহর করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সকলে।

    তারকেশ্বরের বর্জ্য পদার্থ প্রসেসিং করার জায়গা মিলছে না– এই কথা জেনে ২৪ জুন নবান্নে বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকেশ্বর পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। তারকেশ্বরে বছরে দু’টি মেলা ও ১৫টি ওয়ার্ডের বর্জ্য পদার্থ পাহাড়ের আয়তন নিয়েছে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। বর্জ্য পদার্থের আগুনের ধোঁয়ায় পাশাপাশি কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। এনিয়ে বেশ কয়েকবার ওই এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। বহুদিন আগে থেকেই বিকল্প জায়গার সন্ধান করছিল তারকেশ্বর পুরসভা।‌ তালপুর পঞ্চায়েতের দামোদর নদ সংলগ্ন এলাকায় সরকারি জমি পায় পুরসভা। প্রকল্প রূপায়ণের মাঝপথেই ওই এলাকায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির বিরোধিতা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। একদিকে সরকারি পরিকল্পনা, অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধিতা– এই সমস্যার মধ্যে বিকল্প ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। 

    মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মা প্রকাশের পরই এই বিষয়ে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালাতে থাকেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। দফায় দফায় বৈঠক করে সমস্যার সমাধানের রাস্তা খুঁজতে থাকে প্রশাসন। ঠিক হয়, যতদিন বর্জ্য পদার্থ ফেলার বিকল্প জায়গা তৈরি না হবে, ততদিন অপচনশীল দ্রব্য সহ প্লাস্টিক ডাম্পারের মাধ্যমে বৈদ্যবাটি প্রসেসিং ইউনিটে পৌঁছে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে তারকেশ্বরের ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান প্রবীর চন্দ্র জানান, শ্রাবণী মেলায় প্লাস্টিকের ঘট সহ অন্যান্য সামগ্রী এলাকার এক শ্রেণীর যুবক-যুবতী সংগ্রহ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। পুরসভার পক্ষ থেকে প্লাস্টিক প্যাকেট সহ অন্যান্য অপচনশীল সামগ্রী বৈদ্যবাটিতে পাঠানো হচ্ছে। পুরসভা গত এক মাসে কয়েকটি ধাপে প্রায় ২০ টন প্লাস্টিক সহ অপচনশীল দ্রব্য পাঠানো হয়েছে। 

    পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বর্জ্য বাছাই করে আগামী দিন প্রসেসিংয়ের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এর ফলে বর্জ্য পদার্থের যে পাহাড় তৈরি হয়েছে, তা ধীরে ধীরে কমবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)