• মেয়েদের রাত দখলের ডাকে 'অস্বস্তিতে' তৃণমূল, এবার পা মেলানোর ঘোষণা সুখেন্দুশেখরের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের কুণাল ঘোষ মেয়েদের রাত দখলের আন্দোলনকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে এই আন্দোলন ঘিরে যে বাংলার শাসকদল ক্রমেই অস্বস্তিতে পড়ছে, তা স্পষ্ট হয়েছে। যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বাস দিয়ে আরজি করের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে 'পুরস্কৃত' করেন, তার পর থেতেই আরও বেশি করে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ডাক উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বহু মানুষ এতে যোগ দেওয়ার কথা বলছেন। আর এই আন্দোলনে যোগদানের ইচ্ছে প্রকাশ করে এবার বড় ঘোষণা করলেন ঘাসফুল শিবিরের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এদিকে কলকাতা পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডয়ের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমা চৌধুরীও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন রাত দখলের আন্দোলন নিয়ে।

    উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে এক গবেষক খুন হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পরেই 'রিক্লেম দ্য নাইট' আন্দোলন হয়েছিল। আর এবার আরজি কর কাণ্ডে সেই একই ডাক দিয়েছেন বাংলার মেয়েরা। স্বাধীন দিবসের প্রাক্কালে ১৪ অগস্ট রাতে এই জমায়েত হবে রাজ্যের বহু প্রন্তে। প্রাথমিক ভাবে রাদ দখলের এই জমায়েত হওয়ার কথা ছিল কলকাতার তিনটি জায়গায়। তবে দেখা যায়, সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করার ঘোষণা পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই আন্দোলনের কথা। এরপ রকলকাতার শহতলি থেকে শুরু করে বাংলার বহু শহরে এই রাত দখলের জমায়েতের আয়োজন করা হয়।

    এই পরিস্থিতিতে সুখেন্দুশেখর রায় ঘোষণা করেছেন বুধবারের কর্মসূচিতে তিনিও যোগ দেবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'আমিও প্রতিবাদে যোগ দেব। কেন না লক্ষ লক্ষ বাঙালির মতো আমিও এক জন মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু। আমাদের এ বিষয়ে সরব হতে হবে। মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেক হয়েছে। চলুন সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। যাই হোক না কেন।' এদিকে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডয়ের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমা চৌধুরী এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, 'নারীদের সম্মান-প্রাণ বাঁচাতে দলবদ্ধ হন'।

    যদিও এর আগে এই আন্দোলনকে কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, 'মনে রাখুন, রাত মহিলাদের দখলেই থাকে বাংলায়। অসংখ্য মা, বোন বিভিন্ন পেশায় রাতভর কাজ করেন। অনেকে ভোররাত, মাঝরাতে কত দূর থেকে যাতায়াত করেন। বিচ্ছিন্ন খারাপ ঘটনা দিয়ে সার্বিক ভাবে বাংলাকে ছোট যারা করছে, তারা অরাজনীতির মোড়কে রাজনীতি করছে। ভোটে হারা অতৃপ্ত আত্মাগুলোর আবেগের অভিনয় চলছে। এদের মুখোশ নয়, মুখ দেখে বিচার করুন।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)