আরজি করকাণ্ডে তদন্ত শুরু করে দিল সিবিআই। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে সঞ্জয়কে। বেশ কিছু টিমে ভাগ হয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে।বুধবারই সকালে ২৫ জনের একটি বিশেষ দল কলকাতায় এসে পৌঁছয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ধৃত সঞ্জয়কে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার করার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। তারপর সেখান থেকে সঞ্জয় রায়কে সরাসরি সিজিও কমপ্লেক্স-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
টিম ভাগ করে কাজ
সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা বেশ কিছু টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করবেন। একটি টিম, আজই আরজি কর হাসপাতালে যেতে পারেন। সেখানে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখবেন। সঙ্গে থাকবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও। হাসপাতালের অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? সেটা জানার চেষ্টা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের থেকে এই তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত নথি, প্রমাণ এবং তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই। বিভিন্ন ব্যক্তিদের বয়ান থেকে শুরু করে সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া অভিযুক্তের ইয়ারফোন, নিহত চিকিৎসকের মোবাইল, তাঁর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখবে সিবিআইয়ের আরও একটি টিম। মৃত চিকিৎসকের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতেও একটি টিম যাবে বলে জানা গিয়েছে।
ধৃত সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ
এছাড়াও, সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তৈরি হচ্ছে আরও একটি দল। বুধবারই তাকে জেরা করা শুরু হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে সে কেন ওই ওই সেমিনার হলে গিয়েছিল, সেখানে ওই মহিলা চিকিৎসক ছিলেন আগে থেকে জানতো কিনা, তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা, এরকম একাধিক বিষয় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এই তদন্তে বারবার একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকার দাবি উঠে এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। প্রভাবশালী কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা, সে ব্যাপারেও খোঁজ নিয়ে দেখবেন সিবিআই আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলের দেওয়াল ভাঙা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ জনস্বার্থ মামলাকারীদের। তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানেন কী করতে হবে। তিনি নির্দেশ দেন, দেওয়াল ভাঙার অভিযোগ সিবিআইকে জানাতে। এই মুহূর্তে আলাদা করে আবেদনপত্র দাখিল করার প্রয়োজন নেই। সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে সোমবার আবেদন দাখিল করা যাবে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।