• আরজি কর‌‌–এর ঘটনা প্রসঙ্গে বাম আমলে ধর্ষিতা অনিতা দেওয়ান–এর কথা স্মরণ করাতে চায় তৃণমূল, নেওয়া হল পাল্টা কর্মসূচি ...
    আজকাল | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার পাল্টা ধর্না কর্মসূচি নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার দুপুরে বানতলায় ধর্ষিতা ও খুনের শিকার অনিতা দেওয়ান–এর বাড়ির সামনে ধর্নার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে প্রাক্তন সাংসদ ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন এখবর। অনিতা দেওয়ানের বাড়ি কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। দলের এই কর্মসূচির ডাক দিয়ে কুণাল বলেন, ‘‌আরজি কর–এর ঘটনায় আমরাও প্রতিবাদী। দোষী বা দোষীদের ফাঁসি চাই। কিন্তু বামরামের চক্রান্ত মানব না।’‌ 

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১৪ আগস্ট বুধবার মধ্যরাতে রাজ্য জুড়ে একটি কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। যার নাম, মেয়েরা রাস্তার দখল নাও। সমাজ মাধ্যমে ডাকা এই আহ্বান ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্য জুড়ে। মেয়েদের অধিকার রক্ষার দাবিতে এই আন্দোলনে সাড়া দিয়েছেন রাজ্যের অনেক তৃণমূল নেতার পরিবার বা তাঁদের আত্মীয়রাও। 

    স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে বুধবার তৃণমূল যে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে সেটা এই ‘‌মধ্যরাত’‌–এর জমায়েতের পাল্টা কিনা? তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌একেবারেই এটা কোনও পাল্টা কর্মসূচি নয়। মানুষকে সমস্ত ইতিহাস বা ঘটনা মনে করিয়ে দেওয়াটা আমাদের কর্তব্য। সেইসময় রাজনৈতিক দলের নেতারা কীভাবে ধর্ষকদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন এবং যিনি ধর্ষিতা হয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে শাসকদলের নেতারা কী মন্তব্য করেছিলেন সেটা আজকের দিনে মনে করিয়ে দেওয়াটা আমাদের কর্তব্য। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় যেখানে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করছেন বা শাসকদলের অন্যতম বড় রাজনৈতিক নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষকদের গুলি করে এনকাউন্টার করার সওয়াল বা পরামর্শ দিচ্ছেন বা ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য প্রশাসন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে সেখানে আগের সরকারের আমলে কী হয়েছিল সেটা মনে করিয়ে দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব।’‌ 

    ১৯৯০ সালে গোসাবা থেকে টিকাকরণ কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে ধর্ষণের পর খুন হন স্বাস্থ্যকর্মী অনিতা দেওয়ান। সেই ঘটনার পর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর একটি মন্তব্য ঘিরে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বুধবার সেপ্রসঙ্গে রাজ্য সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌ধর্ষকদের সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের সকলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। আর জ্যোতি বসুর বক্তব্যের পুরোটা না বলে মাঝের কিছু অংশ নিয়ে মিডিয়ায় একটি অংশে প্রচার করা হয়েছিল।’‌ 

    রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘‌বাম আমলেও রাজ্যে মা–বোনদের ওপর অত্যাচার হয়েছিল। এই আমলেও হচ্ছে। আসলে আরজি কর নিয়ে যে আন্দোলন বা প্রতিবাদ গোটা রাজ্য জুড়ে তৈরি হয়েছে তার থেকে লোকের মনোযোগ ঘুরিয়ে দিতে তৃণমূল এই ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে।’‌ 
  • Link to this news (আজকাল)