গৌতম ব্রহ্ম ও দেব গোস্বামী: সরকারি আধিকারিককে হুমকি দিয়ে কারামন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন অখিল গিরি। এর পর থেকেই পদটি ফাঁকা পড়েছিল। বুধবার অখিলের জুতোতে পা গলালেন চন্দ্রনাথ সিনহা। এতোদিন তিনি রাজ্যের ক্ষুদ্র,মাঝারি ও কুটির শিল্পদপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কারাদপ্তরের দায়িত্ব সামলাবেন বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল। সেই মত এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে সমুদ্র সৈকতের ধারে বনদপ্তরের জমিতে বেআইনিভাবে দোকান তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। বনদপ্তরের তরফে চলছিল উচ্ছেদ অভিযান। অভিযোগ, ৩ আগস্ট সেখানে হাজির হয়ে বনদপ্তরের মহিলা আধিকারিককে কার্যত হুমকি দেন রামনগর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের তরফে সুব্রত বক্সি তাঁকে কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার নির্দেশ দেন। ৪ আগস্ট সেই মত কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অখিল গিরি। এতদিন এই দপ্তর খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই ছিল। তবে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, এই দপ্তরের দায়িত্ব বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে দেওয়া হবে। নতুন একটি দায়িত্ব পেয়ে চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। দপ্তরে গিয়ে সবার সঙ্গে পরিচয় করে কাজ বুঝতে হবে। ভালো কাজ করে দেখিয়ে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ভরসা করেছেন আমাকে, সেই ভরসা আমাকে রাখতে হবে।”