• 'সন্তানের জন্ম দেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন সন্দীপ ঘোষ'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎকের হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্রমশ বিপদ বাড়ছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। মঙ্গলবারই তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ছুটিতে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। নতুন কোনও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে তিনি যোগদান করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এরই মধ্যে সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁর পুরনো প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, ‘প্রসবের ১৪ দিনের মাথায় স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন সন্দীপ ঘোষ।’

    বেশ কয়েক বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের মল্লিকবাগানে থাকতেন সন্দীপবাবু। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে তখন চিকিৎসা করতেন এই অস্থি বিশেষজ্ঞ। তবে সন্দীপবাবুর আচরণ নিয়ে আপত্তি ছিল অনেকেরই। তার থেকে বেশি আপত্তি ছিল তাঁর মায়ের আচরণ নিয়ে।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘নিজের বাড়িতেও চেম্বার করে রোগী দেখতেন সন্দীপবাবু। স্থানীয়রা অনেকেই তাঁকে দেখাতে যেতেন। তবে অতিরিক্ত ফিজ নিতেন তিনি।’ ওই ব্যক্তি জানান, সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে প্রসবের ১৪ দিনের মাথায় তাঁর স্ত্রীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছিল। সেদিন চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা সন্দীপবাবুর বাড়িতে যান। জানতে পারেন, স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছেন সন্দীপ। তখন স্ত্রী সন্তান প্রসব করেছেন মাত্র ১৪ দিন হয়েছে। স্ত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রাই হাসপাতালে নিয়ে যান। সঙ্গে নিয়ে যান সদ্যোজাতকেও। এমনকী সদ্যোজাতের কয়েকটি জামা চাইলেও সন্দীপবাবুর মা দেননি বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান সন্দীপবাবুর স্ত্রীর বেশ কয়েকটি সেলাই ফেটে গিয়েছে।

    প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ছিলেন সন্দীপবাবুর স্ত্রী। কলকাতার হাসপাতালে যোগদানের পর তার পর থেকেই বারাসতের বাড়িতে যাতায়াত কমিয়ে দেন সন্দীপ। অবশেষে বাড়ি বিক্রি করে পাকাপাকিভাবে কলকাতায় চলে যান তিনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)