• আরজি কর কাণ্ডে সত্যি যৌনাঙ্গে মিলেছে ১৫০ গ্রাম বীর্য? কী বলছে চূড়ান্ত রিপোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি করের ঘটনায় একা কোনও একজন জড়িত থাকতে পারে না, এই দাবিই করে আসছেন আন্দোলনকারী। এদিকে পুলিশ দাবি করছিল, শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়ই নাকি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে শেষে অবশ্য পুলিশ একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা স্বীকার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েও সেই কথা বলেছিলেন। এরই মাঝে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হল, মনয়াতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত হামলাকারীর হাত থেকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সি সেই মহিলা চিকিৎসক। এদিকে প্রথমে দাবি করা হচ্ছিল, নির্যাতিতার গলার হাড় নাকি ভেঙে গিয়েছে। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্যাতিতার শরীরে কোথাও কোনও হাড় ভাঙেনি। তবে তাঁর চোখে রক্তক্ষরণ হয় চশমার কাচ ভেঙে। এছাড়া থাইরয়েড কার্টিলেজে রক্ত জমাট বাঁধে।

    ময়নাতদন্তে অনুমান করা হয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থাতেই সেই চিকিৎসকের ওপর হামলা কাহয়েছিল, তাই প্রাথমিক ভাবে যতটা প্রতিরোধ করা স্বাভাবিক, তা হয়ত করতে পারেননি তিনি। তবে পরবর্তীতে হামলার মুখে তিনি পালটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। এদিকে এর আগে চিকিৎসক সুহর্ণ গোস্বামী দাবি করেছিলেন, নিহত তরুণীর যৌনাঙ্গের ভেতর থেকে প্রায় ১৫০ গ্রামের বেশি তরল নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে রক্তমাখা বীর্য থাকে পারে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তবে সেই মন্তব্য থেকে অনেকেই ধরে নেন যে ১৫০ গ্রাম বীর্য মিলেছিল তরুণীর দেহ থেকে। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এদিকে আরজি কর কাণ্ডে পাওয়া বীর্য একজনেরই কি না, তা খতিয়ে দেখতে সঞ্জয়ের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে।

    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেই আন্দোলনকারী চিকিৎসক থেকে শুরু করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই ঘটনা একা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতা চিকিৎসকের পেটে, ঠোঁটে, আঙুলে, বাঁপায়ে ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকের চশমার কাচ ভেঙে চোখে ঢুকে গিয়েছিল। তাঁর মুখ খুব জোরে চেপে ধরে রাখা ছিল। তার মাথা দেওয়ালে বা মেঝেতে ঠুকে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে মৃত চিকিৎসকের গালে ক্ষত রয়েছে। তা হামলাকারীর নোখের থেকে হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। এদিকে চিকিৎসকের পালটা লড়াইয়ের চিহ্ন নাকি সঞ্জয়য়ের শরীরেও পাওয়া গিয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)