• আরজি কর কাণ্ডে 'বিচলিত' মহুয়া, তাই প্রশ্ন তুললেই করছেন ব্লক! উঠল বিতর্কের ঝড়
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি করের ঘটনা নিয়ে মহুয়া মৈত্রকে ট্যাগ করে এক্স-এ কিছু পোস্ট করলেই নাকি তিনি ব্লক করে দিচ্ছেন। এই আভিযোগে তৃণমূল সাংসদকে তোপ দেগেছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্রের এই ব্লককাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই এক যুব নেতা। তৃণমূলের আইটি সেলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস এই নিয়ে যুক্তি সাজান। তিনি পোস্টে লেখেন, 'সম্মানীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্র রাজ্য এক্সিকিউটিভের অংশ নন। বাকি সবার মতোই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তিনি খুবই বিচলিত। তাই তিনি ফালতু প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না অসংবেদনশীল মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিতে পারবেন না। তাই তিনি ব্লক করছেন।'

    উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের ৪ দিন পরে গতকাল রাতে প্রথমবার এই বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। তাতে লিখেছিলেন, 'আরজি কর-এর ভয়ঙ্কর অপরাধ আমাকে স্তম্ভিত করেছে। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না, তদন্ত দ্রুত ও স্বচ্ছ হতে হবে। চিন্তা, প্রার্থনা এবং সংহতি।' তাঁর এই পোস্টের পরই নেটিজেনদের একাংশ হামলে পড়েন। প্রশ্ন তুলতে থাকেন, এতদিন পরে তাঁর এই বিষয় নিয়ে ঘুম ভাঙল? এই আবহে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে যেই কি না কিছু কমেন্ট করেছেন, সেই ব্যক্তিকেই মহুয়া ব্লক করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার হয়ে মাঠে নামতে হয়েছে তৃণমূল আইটি সেলের নেতাকে।

    এদিকে মহুয়াকে নিয়ে নীলাঞ্জনের করা পোস্টের নীচেও বহু মানুষ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একজন পোস্ট করে লেখেন, 'হ্যাঁ ঠিকই বলা হয়েছে। মহুয়া একই ডিস্টার্বড যে তিনি হিন্ডেনবার্গ নিয়ে, শিয়া মুসলিম এবং ওয়াকফ বোর্ডের বৈঠক, ব্রডকাস্টিং বিল, জয়া বচ্চনের বিতর্ক নিয়ে পোস্ট করতে পারেন।' এদিকে প্রতীক বলে একজন পোস্ট করে লেখেন, 'হাহাহাহা, ঠিক। যে যে তাঁর নীতি আদর্শের সঙ্গে সহমত নন, তাঁদের সবাইকেই ব্লর করছেন মহুয়া। আর তিনি আপনার মাস্টার। আনাকে বললেন হলে আপনি একটু ছুতো বের করে তর ভুয়ো দম্ভকে বাঁচাতে দাঁড়িয়ে পড়লেন।' এদিকে শশাঙ্ক আনন্দ বলে একজন কটাক্ষ করে লেখেন, 'হ্যাঁ মহুয়া হয়ত গুচ্চির ব্যাগ কিনতে ব্যস্ত তাই তিনি চান না যে কেউ তাঁকে বিরক্ত করুক।' একজন আবার অভিযোগ করেন, মহুয়া কোনও ভাবেই সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না বলেই সবাইকে ব্লক করে চলেছেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)