• তরুণী ডাক্তারের যোনিতে ১৫১ মিলিগ্রাম ফ্লুইড? 'একজনের কাজ হতেই পারে না,' দাবি ডাক্তারের
    আজ তক | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • Post-mortem Report of RG Kar Doctor: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, গণধর্ষণ হওয়ার লক্ষণ রয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মত পোষণ করলেন ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে, এই ঘটনায় একাধিক অপরাধীর সম্ভাবনার কথা বললেন চিকিৎসক। তিনি বলেন, 'ট্রেনি ডাক্তারের উপর আঘাতের মাত্রাটা একা কোনও ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।' ট্রিগার ওয়ার্নিং

    ডাঃ গোস্বামী বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যোনি থেকে ১৫১ মিলিগ্রাম তরল(ফ্লুইড) পাওয়া গিয়েছে। 'এই পরিমাণটা একজন ব্যক্তির হতে পারে না। এর থেকে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলছে,' জানান ডাঃ গোস্বামী। সুবর্ণ গোস্বামী অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক।

    ধর্ষণের ক্ষেত্রে ভ্যাজাইনাল সোয়াব টেস্ট করা হয়। যোনির তরলে শুক্রাণু বা সেমিনাল ফ্লুইড আছে কিনা তার পরীক্ষা করা হয়। এর মাধ্যমে, পেনাইল পেনিট্রেশনের প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।

    ডাঃ গোস্বামী বলেন, 'নির্যাতিতার পরিবারও এই নৃশংস ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।'  

    'ইনজুরি এবং বল প্রয়োগের প্রকৃতি একা কোনও ব্যক্তির হাতের কাজ হতে পারে না,' ডাঃ গোস্বামী আরও বলেন।

    শুক্রবার সকালে আরজি করের সেমিনার কক্ষে অর্ধনগ্ন অবস্থায় স্নাতকোত্তর পাঠরত চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পোস্ট-মর্টেম রিপোর্ট কী বলছে

    ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। শ্বাসরোধের কারণে তাঁর থাইরয়েড কার্টিলেজ(তরুণাস্থি) ভেঙে যায়। তাঁর গোপনাঙ্গে একটি গভীর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে, রিপোর্টে বলা হয়েছে।

    চার পৃষ্ঠার রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁর গোপনাঙ্গে ক্ষতগুলি 'বিকৃত যৌনতা' এবং 'নির্যাতন'-এর কারণে হয়েছে।

    এছাড়া তাঁর পেট, ঠোঁট, আঙ্গুল ও বাম পায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, চোখ ও মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

    রিপোর্ট উল্লেখ করে এক বিশেষজ্ঞ সূত্রে বলা হচ্ছে, সম্ভবত চিৎকার আটকাতে মাথা দেয়ালে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। মুখেও আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।

    ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'চিৎকার এড়াতে মুখ ও গলা ক্রমাগত চেপে রাখা হয়েছিল। শ্বাসরোধ করার জন্য গলা চেপে ধরা হয়েছিল। শ্বাসরোধের ফলে থাইরয়েডের কার্টিলেজ ভেঙে গিয়েছিল।'

    চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরাও তাঁর দেহের ভয়াবহ অবস্থার কথা জানান। 'পা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে ছিল... পেলভিক গার্ডল ভেঙ্গে না গেলে এমনটা হতে পারে না' বলেন এক আত্মীয়। তিনি আরও বলেন, 'ওঁর চশমা ভেঙে গিয়েছিল এবং চোখে কাঁচের টুকরো ছিল। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল।'
  • Link to this news (আজ তক)