মহিলা ঘটনার অভিযোগ জানানোর পর, সেই অভিযোগপত্রের সবচেয়ে গুরুতর অংশ, আংশিক বদলে তুলনায় লঘু ধারা প্রয়োগ করা হয়। যার জেরে অভিযুক্তকে নিম্ন আদালতে তোলা হলে সেদিনই তাকে জামিন দেয় আলিপুর কোর্ট।
আলিপুর আদালত লালবাজারকে তদন্তে ত্রুটি নিয়ে সতর্ক করে।
গত ১৫ জুলাইয়ের ঘটনায় বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে এই তদন্তে অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনারকে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৩ আগষ্ট পরবর্তী শুনানিতে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পেশায় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মী ওই মহিলার বাড়িতে ১৫ জুলাই সকালে হাজির হন পারিবারিক বন্ধু বছর ৫৩-এর ওই অভিযুক্ত। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ঢুকে একা থাকা মহিলাকে ভয় দেখিয়ে বিবস্ত্র করে তাঁকে নানাভাবে অত্যাচার করা হয়। শেষ পর্যন্ত চিৎকার করে তিনি কোনওভাবে মদ্যপের হাত থেকে রেহাই পান। মহিলার স্বামী আইএএস অফিসার, বর্তমানে মুম্বইয়ে কর্মরত।
মহিলা সেদিনই লেক থানায় গিয়ে গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগ করেন। সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও, পরের দিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে তদন্তে বহু ত্রুটি ধরে আদালত।
পুলিসের গাফিলতি বুঝে ২৩ জুলাই হাইকোর্টে মামলা হয়।