• ‘‌আমরা সুযোগ হারালে ভবিষ্যতে আর নাও পেতে পারি’‌, আরজি কর নিয়ে বার্তা বোসের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মামলার এখন তদন্ত করছে সিবিআই। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বেশ কিছুদিন তিনি বেকায়দায় পড়ে চুপ ছিলেন। এবার রাজ্যে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আর তারপরই সক্রিয় হয়ে উঠলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা ভয়াবহ। এই ঘটনায় আমাদের বিবেকে একটা ঝাঁকুনি লাগা উচিত। যেটা ঘটেছে সেটা গোটা বাংলার কাছে লজ্জার। দেশ তো বটেই, মানবজাতির কাছেও লজ্জার।’

    গত শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তখন থেকেই বাংলার নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ আন্দোলন। আজ, বুধবার বিকেলে রাজভবনের এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যপালের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সেখানেই প্রথম আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সমালোচনা করতে শোনা যায় রাজ্যপালকে। সেখানেই তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের দায়িত্ব বাংলা এবং ভারতকে মহিলাদের থাকার জন্য নিরাপদ স্থান গড়ে তোলা। এটা আমাদের বড় দায়িত্ব। যদি এখন আমরা সুযোগ হারাই তাহলে ভবিষ্যতে আর নাও পেতে পারি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তা হলেই সাফল্য আসবে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত থেমো না।’ এই স্থির সংকল্প নিয়ে নিশ্চিত করতে হবে, আমাদের মেয়েরা যাতে সুরক্ষিত থাকে।’

    এই রাজভবনেই কদিন আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন সেখানে কর্মরত এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। রাজ্যপাল সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন। আজ বুধবার রাজ্যপাল মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বলেছেন, ‘‌বাংলায় আগেও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। আমরা দেখেছি রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে এক মহিলাকে অত্যাচারের ঘটনা। রাস্তার মধ্যে এক মহিলাকে বেআব্রু করার ঘটনাও ঘটেছে। আমি জানতে চাই এই বাংলাই কি সেই বাংলা, যেখানে কবিগুরু লিখেছিলেন, ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির!’

    রাজ্যপাল নাম না করে ছত্রে ছত্রে রাজ্য সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন। ভিডিয়ো বার্তায় বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবনতির দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ। এবার সুযোগ পেয়ে সরাসরি আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোসের কথায়, ‘‌ক্যাম্পাসে হিংসার বাতাবরণ বন্ধ হওয়া দরকার। বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলি দুষ্কৃতীদের অবাধ বিচরণভূমি হয়ে উঠছে। গুন্ডারাজ শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারকে এই পরিস্থিতির দায় নিতে হবে। সবাইকে একজোট হতে হবে নারী সুরক্ষার জন্য।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)