• স্বাধীনতা দিবসেই পথ চলা শুরু করে দুবরাজপুর স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • সৌরভ বড়াল, দুবরাজপুর: প্রায় ৪৫ বছর আগে স্বাধীনতা দিবসের দিনই শুরু হয়েছিল দুবরাজপুর স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের পথ চলা। সূচনা কালে এলাকার নেশাগ্রস্ত যুবসমাজকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এবং শারীরিক, মানসিক বিকাশের মাধ্যমে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তৎপর হন ক্লাবের সদস্যরা। ১৯৭৯ সালের ১৫ আগস্ট দুবরাজপুর রেল ময়দান এলাকায় একটি টিনের চালা ঘরে শুরু হয়েছিল ক্লাবের পথচলা। দিনটিকে ক্লাবের জন্ম দিন হিসেবে বিশেষভাবে পালন করেন ক্লাবের সদস্যরা। এবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

    ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ আগস্ট সকাল ৮টা নাগাদ ক্লাবের সদস্য, স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্লাবের শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। তারপর স্থানীয় বাসিন্দা কচিকাঁচাদের নিয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদিন ক্লাবের আয়োজিত সমস্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে মূল আকর্ষণ থাকবে ক্লাবের প্রবীণ ও নবীন সদস্যদের মধ্যে একটি প্রীতি  ফুটবল ম্যাচ। এই খেলা দেখার জন্য আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকেও বহু মানুষ সেখানে ছুটে আসেন। খেলার আনন্দ উপভোগ করেন। খেলা শেষ অঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং ফুটবল ম্যাচের বিজয়ীদের পুরষ্কার বিলি করা হবে। ওইদিন সন্ধ্যায় ক্লাবের উদ্যোগে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দেশাত্মবোধক বিভিন্ন গান, নাচ ও  আবৃত্তি পরিবেশন করবেন স্থানীয় বাসিন্দা ও শিল্পীরা। অনুষ্ঠান শেষে রাতে ক্লাবের সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে নৈশাহারের আয়োজন করা হয়েছে।

    আশির দশকে এই এলাকার যুবকরা বিভিন্নভাবে নেশাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পারস্পরিক বিবাদে জড়িয়ে পড়তেন। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাদের উদ্যোগে একটি খেলাধুলোর সংগঠন তৈরির পর এই ক্লাবের সূচনা হয়। স্থানীয় শুভানুধ্যায়ীদের সাহায্যে উন্নত হতে শুরু করে ক্লাবের কর্মকাণ্ড এবং ক্লাবের পরিকাঠামো। তাঁদের মধ্যে অন্যতম দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযুষ পান্ডে, রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষ সেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ প্রমুখ। ক্লাবের নতুন ভবন নির্মাণে আর্থিক সহায়তা করেছেন সাংসদ শতাব্দী রায়।  ক্লাবের উদ্যোগে সেখানে সারাবছর নিয়মিত বেশকিছু প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে একটি করে ক্রিকেট ও ফুটবল কোচিং ক্যাম্প, ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবির, আধুনিক ও ওয়েস্টার্ন কালচারের নৃত্য কর্মশালা। যা সারা বছর চলে। ক্লাবের সদস্যরা সারাবছর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন এবং পুরস্কৃত হন। ক্লাবের সভাপতি নয়ন ওঝা বলেন, বহু প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সামাজিক সার্থে এই ক্লাবের সূচনা হয়েছিল। বহু শুভানুধ্যায়ী এই ক্লাবের জন্য নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ১৫আগস্ট এই ক্লাবের সূচনা হয়েছিল। তাই এই দিনটি ক্লাবের জন্ম দিন ও স্বাধীনতা দিবস পালনের সমন্বয়ে বিশেষ ভাবে উদযাপন করা হয়। এবারও ক্লাবের জন্ম দিনে খেলাধুলো ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)