• বেলবাড়ি গ্ৰামের নীলকুঠি ঘিরে পর্যটন কেন্দ্রের দাবি
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, করণদিঘি: বাংলায় নীলচাষিদের উপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কাহিনী ইতিহাসের অন্যতম কুখ্যাত অধ্যায়। করণদিঘি ব্লকের লাহুতাড়া ১  নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বেলবাড়ি গ্ৰামের সঙ্গেও জড়িয়ে নীলকুঠির ইতিহাস। কুঠির ধ্বংসাবশেষ আজও বহু ইতিহাসের চিহ্ন বহন করে চলেছে। এখন সেখানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার দাবি উঠছে।

    বেলবাড়ি গ্ৰামের প্রবীণ নাগরিক সুমাই মুর্মুর কথায়, নীলকুঠিতে বড় বড় ঘর, লম্বা বারান্দা ছিল। নীলগাছ জলে পচানোর জন্য ছিল ছ’টি চৌবাচ্চা, নীল শুকোনোর জন্য বিশাল কয়েকটি উনুন। নাগর নদীর দিয়েই নীলকর সাহেবরা নৌকায় যাতায়াত করতেন। এখন কুঠির বিশেষ কিছু অবশিষ্ট না থাকলেও দুরদুরান্ত থেকে প্রচুর লোকজন আসেন গ্ৰামে। আশেপাশের এলাকায় মাটি খুঁড়লে এখনও পাওয়া যায় নীল। এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়লে স্থানীয়দের রোজগারের ব্যবস্থা হবে। প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে বিষয়টি ভেবে দেখতে। নাগর নদীর দু’পারের জমিতে একসময় প্রচুর নীলচাষ হতো। সেজন্য বেলবাড়ি গ্রামে তৈরি করা হয়েছিল নীলকুঠি। বছরে দু’বার নীল চাষ করতে চাষিদের বাধ্য করতেন নীলকর সাহেবরা। কেউ রাজি না হলে কুঠিতে আটকে রেখে চলত অমানুষিক অত্যাচার। পূর্বপুরুষদের সেই কষ্টের কথা এখনও সন্তানদের শোনান অভিভাবকরা।

    উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পম্পা পাল জানিয়েছেন, জেলার নীলকুঠির ইতিহাস ধরতে রাখতে চারিদিকে প্রাচীর করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নীলকুঠি গ্ৰামে যাওয়ার ভালো রাস্তাঘাট রয়েছে। কুঠি ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)