• ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট মধ্যরাতের স্মৃতিকথা আজ মুক্তি পাচ্ছে তথ্যচিত্রে
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • মনসুর হাবিবুল্লাহ, দিনহাটা: ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টের মধ্যরাতে আনন্দে বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল। ১৫ আগস্ট জিলিপি বানানো হয়েছিল এক বনেদি বাড়িতে। ব্রিটিশ বাহিনীর বিদায়ের খবর শুনে পথ চলতি মানুষকে খাওয়ানো হয়েছিল মিষ্টি। দিনহাটা হাইস্কুলের পাশে বর্তমানে হাসপাতাল চত্বরটি ফাঁকা ছিল। সেখানেই উঠেছিল স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা। একাধিক বাড়িতেও উঠেছিল তিরঙ্গা। স্বাধীন ভারতের প্রথম দিনটি কেমন ছিল দিনহাটা? সেই নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়েছেন শিক্ষক শঙ্খনাদ আচার্য। ১৬ মিনিটের তথ্যচিত্রে ফুটে উঠেছে ওই দিনের চিত্র। 

    আজ, বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট সেই তথ্য চিত্র প্রকাশ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিনহাটা গোপালনগর হাইস্কুলের শিক্ষক শঙ্খনাদ আচার্য বলেন,  ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্ট দিনহাটা শহরের পরিস্থিতি নিয়ে তথ্যচিত্র বানানোর পরিকল্পনা অনেকদিন থেকেই ছিল। বেঁচে থাকা সেই সময়কার মানুষের কাছে পৌঁছে সেদিনের কথা জেনেছি। একাধিক স্মৃতি উঠে এসেছে তাঁদের কথায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে ১৬ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছি। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে সেই তথ্যচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় মুক্তি পাবে। 

    দিনহাটা শহরের গুটিকয়েক মানুষের স্মৃতিতে অমলিন ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের সেই স্মৃতি। সেসময়কার আজ যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁরা বেশিরভাগই ছিলেন তখন কিশোর। তবে স্বাধীনতার স্মৃতি কি এত সহজে ভোলা যায়। শঙ্খনাদ আচার্য সেই দিনের কথা ওঁদের মুখ থেকে তুলে এনে সজীব করেছেন। ক্যামেরাবন্দি সেই সাক্ষাৎকার নিয়েই তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র। তবে অনেকের বয়সের ভারে সব কথা মনে নেই। তবে তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী খুঁজে পেয়েছেন শঙ্খবাবু। যাঁরা বলতে পেরেছেন তাঁদের স্মৃতির কথা। 

    স্বাধীনতার সময় কোচবিহারে তখন কংগ্রেস দলের প্রভাব ছিল। দিনহাটা শহরের একাধিক বনেদি পরিবার কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত ছিল। মূলত তারাই পতাকা তুলেছিল। শহরের পতাকা উত্তোলন থেকে জিলিপি খাওয়ানোর কথা উঠে এসেছে তথ্যচিত্রে।
  • Link to this news (বর্তমান)