• গঙ্গার জলে নতুন করে সাতটি গ্রাম জলমগ্ন
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা, মানিকচক: নতুন করে গঙ্গার জল ঢুকে বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। বুধবার বিকেলে মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর ও উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  মূল রাস্তার উপর দিয়ে গঙ্গার জল বইতে শুরু করেছে। রাতভর জল বাড়তে থাকলে মালদহ জেলার সঙ্গে উত্তর চণ্ডীপুরের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। এরফলে ভূতনির মানুষের বিপদ বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিন বিকেলে মানিকচকের জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে যান জেলাশাসক। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে ব্লক প্রশাসন, পুলিস ও সেচ দপ্তরকে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন তিনি। 

    জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বুধবার বলেন, সেচ দপ্তর অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে জল আটকে দিতে পারব বলে আশা করছি। কলকাতা থেকে সেচ দপ্তরের সেন্ট্রাল ডিজাইন টিম এসেছে। তারা সার্ভে করেছে। 

    মানিকচকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে গঙ্গার জল। বুধবার দুপুর পর্যন্ত গঙ্গা নদীর জলস্তর বেড়ে হয়েছে ২৫.১৭ মিটার। উত্তর চণ্ডীপুরের পুলিনটোলার রাস্তা বরাবর বইছে নদী। যে কোনও মুহূর্তে রাস্তার উপর জল উঠলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে মানিকচকের সঙ্গে উত্তর চণ্ডীপুরের। ইতিমধ্যে ভূতনি থানা,উত্তর চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সহ প্রায় সাতটি গ্রাম নতুন করে জলমগ্ন হয়েছে। ভূতনির কালুটনটোলার ভাঙা বাঁধের অংশে এদিন বালির বস্তার মাধম্যে কাজ শুরু করতেই বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। যদিও পরে কাজ শুরু হয়। 

    প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেসের মোত্তাকিন আলমের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বুধবার মানিকচকের বিডিওর সঙ্গে দেখা করে ভূতনির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক।

    ভূতনির কালুটোনটোলার বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকাজুড়ে। উত্তর চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের প্রায় কুড়িটি গ্রাম জলমগ্ন।  যাতায়াতের রাস্তা নদীতে পরিণত হয়েছে। শোচনীয় অবস্থা পুলিনটোলার রাস্তার। রাস্তার উপর দিয়ে যাচ্ছে নদীর জল। রাস্তার চারটি কালভার্ট দিয়ে প্রচণ্ড স্রোতে জল বের হচ্ছে। দুর্বল হয়ে পড়েছে দুটি কালভার্ট। যে কোনও মুহূর্তে সেগুলি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। 

    উত্তর চণ্ডীপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে প্রায় কুড়ি কিমি অতিরিক্ত রাস্তা ঘুরে নয়তো নৌকার মাধ্যমে দুর্গতদের কাছে পৌঁছতে হবে প্রশাসনকে।
  • Link to this news (বর্তমান)