• মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করবেন না: মমতা
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চিকিৎসকদের শুরু করা প্রতিবাদ-আন্দোলনে রাজনীতির রং লেগেছে চুপিসারে। আর সেটাই মানতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ুয়াদের আন্দোলনের পাশে তিনি ছিলেন এবং থাকবেন—এই বার্তা দিয়েও গর্জে ওঠেন তিনি ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাওয়া বিরোধীদের একাংশের বিরুদ্ধে। তাঁর স্পষ্ট কথা, পাশে দাঁড়ানো নয়, বাংলার বদনাম করাই এদের লক্ষ্য। স্বাধীনতা দিবসের আগের সন্ধ্যায় মমতার সরাসরি অভিযোগ, মৃত্যুকে নিয়ে ভয়াবহ রাজনীতির খেলা খেলবেন না। সমাজ মাধ্যমে বিবৃতি দেওয়ার আগে আয়নায় মুখ দেখুন। এখানেই শেষ নয়। বিরোধীদের কুৎসা ও অপপ্রচারের জবাব দিতে নিজের দলকেও পাল্টা রাস্তায় নামিয়ে দিলেন নেত্রী। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে ১৬ আগস্ট কলকাতার মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল হবে। আর ১৭, ১৮ই রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি।

    জুনিয়র ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় কোনও দোষী যেন ছাড়া না পায়—এটাই ছিল কলকাতা পুলিসকে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ। সেইমতো ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। এখন সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার। এরপরও বিরোধীরা যেভাবে মর্মান্তিক ঘটনাটিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে, তা মেনে নিতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার মধ্যরাতের স্বাধীনতা শীর্ষক কর্মসূচিতে বেহালায় দাঁড়িয়ে সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাম-বাম-শ্যামের খেলা চলছে। ওরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। মূল উদ্দেশ্য হল ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাকে বদনাম করা। কিন্ত আমি ক্ষমতার মায়া করি না। রাজনীতিতে এসেছি মানুষের সেবা করতে।’ 

    মমতা যখন এই বক্তব্য দিচ্ছেন তার কিছুক্ষণ আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আর জি কর হাসপাতল চত্বর। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস একযোগে শামিল হয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ-কর্মসূচি করে। তার আগে বিজেপি ও কংগ্রেস কলকাতার দুই প্রান্তে মিছিলও করেছিল। তিন বিরোধী যে এক হয়ে গিয়েছে, এটাই প্রাধান্য পায় মমতার বক্তব্যে। বারবার তিনি মনে করিয়ে দেন সিপিএম জমানার বানতলা, কেশপুরের কথা। যোগীরাজ্যে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার যন্ত্রণা। এরপরও মমতা স্পষ্ট জানান, ‘সিবিআইকে পূর্ণ সহযোগিতা করব। কিন্তু দোষীর ফাঁসি চাই। যেই জড়িত থাকুক না কেন।’
  • Link to this news (বর্তমান)