আর জি করের ছাত্রী ‘কৃতী কন্যাশ্রী’ দাবি জানালেন ন্যায় বিচারের
বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বুধবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে ১১তম কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠান পালিত হল। কৃতী কন্যাশ্রীদের সংবর্ধিত করা হয় এই অনুষ্ঠান থেকে। কৃতীদের মধ্যে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পাঠরতা তৃতীয় বর্ষের দুই ছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের সংবর্ধিত করল রাজ্য সরকার। সংবর্ধনা নেওয়ার পর কন্যাশ্রী স্মারক হাতে মহিলা চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরব হলেন কৃতী কন্যাশ্রী মধুরিমা মিশ্র। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বাসিন্দা। ন্যায় বিচার ও মহিলা নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন তিনি। মধুরিমা যোগ দিয়েছিলেন আর জি করের আন্দোলনে। সে কথা জানিয়ে বললেন, ‘আজকে আর জি করে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা ন্যক্কারজনক বললেও কম হবে। ফলে আমাদের একটাই দাবি, জাস্টিস অ্যান্ড সেফটি।’ তাঁর বাবা স্কুল শিক্ষক। নাম কল্লোল মিশ্র। তিনি নিজের কন্যার সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। বললেন, ‘ঘটনার পর দু’দিন খুব আতঙ্কে ছিলাম। মেয়ে হোস্টেলে থাকে। দুশ্চিন্তা থেকেই গিয়েছে। আশা করব নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হবে।’ এদিন কৃতী কন্যাশ্রীর পুরস্কার পেয়েছেন আর জি কর হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া তিয়াসা চন্দ্রও। তিনি কোনও বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এই শুভদিনে আমার কন্যাশ্রীদের বলব, তোমরা এগিয়ে যাও। নিজের নিজের স্বপ্ন পূরণ করো। তোমাদের যে কোনও দরকারে আমি পাশে আছি।’ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা ছাড়াও এদিন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও প্রধান সচিব সংঘমিত্রা ঘোষ। ছিলেন মহিলা সাংসদরা। শশী পাঁজা জানান, প্রতি বছর রাজ্যে গড়ে পাঁচ হাজার বাল্যবিবাহ রোধ করা হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাল্য বিবাহ আটকাতে একটি বিশেষ পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। ভারতে ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ আরিয়ান দে ওয়াগত জানান, মেয়েদের স্বনির্ভর করার জন্য কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প ভারতে শুধু নয় সারা বিশ্বে চালু হওয়ার প্রয়োজন আছে। নিজস্ব চিত্র