• স্বাধীনতা দিবসে সীমান্তে কড়া নজরদারি
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: আজ, ১৫ আগস্ট। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবস। আঁটসাঁট নিরাপত্তার জন্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। তার মধ্যে প্রতি বর্ডার আউটপোস্টে উত্তোলিত হবে দেশের তেরঙ্গা পতাকা। উদযাপিত হবে স্বাধীনতা দিবস। এদিকে, ১৫ আগস্টই বাংলাদেশের ‘জাতীয় শোক দিবস’। কিন্তু, সেখানকার কট্টরপন্থীরা জাতীয় শোক দিবস পালনে আপত্তি তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক দিবসের বদলে ‘জাতীয় আনন্দ দিবস’ পালনের আওয়াজ উঠেছে! যদিও আওয়ামি লিগের দাবি, তারা রাজপথে নেমে জাতীয় শোক দিবস পালন করবে। তাই ১৫ আগস্ট ঘিরে নতুন করে অশান্তি বাধতে পারে। সেই কারণে সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।

    ১৫ আগস্ট দেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আগে প্রতিবছরই সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়। যাতে কোনও কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। গত ৫ আগস্ট হাসিনার সরকারকে উৎখাতের পর বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয় ও মিজোরাম এই পাঁচ রাজ্যের উপর ভারত-বাংলাদেশের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৭৭ শতাংশ স্থল সীমান্ত এবং ২৩ শতাংশ জল সীমান্ত। স্থল সীমান্তের বহু এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। ওই এলাকা সহ পাঁচটি রাজ্যেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে, এবার ১৫ আগস্টের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুন করা হয়েছিল। বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তাই ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে জাতীয় শোকদিবস পালন করা হয়। তবে, এবার সরকারিভাবে জাতীয় শোকদিবস পালন করা হবে না বলেই অনুমান।

    বিএসএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি রয়েছে। দেশের নিরাপত্তার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্তের প্রতিটি বিওপি’তে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)