নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলাদেশে শুরু হওয়া তুমুল ভারত বিদ্বেষের কোপ এবার কি পড়বে এপারের বাঙালির পাতে? শেখ হাসিনা উৎখাত পর্বে সেরকম সম্ভাবনাই দানা বেঁধেছে। দুর্গাপুজোর আগে ফি-বছর এপারের বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে পদ্মা-মেঘনার রুপোলি ফসল, ইলিশমাছ সীমান্ত পেরিয়ে হাজির হলেও, এবার তা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে ‘সংশয়’ তৈরি করে দিয়েছে ওপারের অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার ঢাকায় সে দেশের প্রাণী ও মৎস্য বিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগে দেশের মানুষকে কমদামে ইলিশ খাওয়ানো হবে, তারপর তো রপ্তানি। প্রতিবার দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রপ্তানি করা হয়, এবারও কি তা হবে? এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারিয়ে ফরিদা বলেন, ভারতের সঙ্গে এত প্রেম কীসের! আগে দেশের মানুষ, তারপর রপ্তানি। উপদেষ্টার এহেন বক্তব্য যে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির প্রধান ‘প্রতিবন্ধক’ হয়ে উঠতে চলেছে, তা বলছে সংশ্লিষ্ট মহল। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার বাঙালি মানুষের ইলিশ প্রেমের খাতিরে সে দেশ থেকে মাছ রপ্তানির অনুমতি দিতেন শেখ হাসিনা। তবে ইলিশ নিয়ে আশাবাদী এপারের ফিশ ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা অতুল দাস। তাঁর কথায়, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছি। সে দেশের উপদেষ্টা আগে স্থানীয় চাহিদার কথা বলেছেন, রপ্তানি একেবারে বন্ধ হবে, এমনটা বলেননি।’