• বাজারে এল কাকদ্বীপের মৎস্য গবেষণাগারের আবিষ্কৃত চিংড়ির ‘ফিড’
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: বাজারে এল কাকদ্বীপের কেন্দ্রীয় নোনা জলজীব পালন অনুসন্ধান কেন্দ্রের আবিষ্কৃত চিংড়ি মাছের ফিড বা খাদ্য। ২০১৯ সাল বা তারও আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে প্রায় এক হাজার হেক্টর জলাশয়ে চিংড়ি চাষ হতো। ২০২০ সাল থেকে এই চাষ কমতে থাকে। বর্তমানে মাত্র ৩৭০ হেক্টর জলাশয়ে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। অর্থাৎ চিংড়ি চাষ প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। গবেষণায় জানা যায়, এর মূল কারণ বাজারে ভেনামি চিংড়ির দাম কমে যাওয়া এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া। তাই চিংড়ি চাষের খরচ কমাতে কাকদ্বীপের এই কেন্দ্রীয় সংস্থার মৎস্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করেন। তাঁরা দু’ধরনের চিংড়ির ফিড আবিষ্কার করেছেন। নাম দেওয়া হয়েছে ‘চিংড়ি প্লাস’ এবং ‘প্লাঙ্কটন প্লাস’। শনিবার কাকদ্বীপে সংস্থার অফিসে আয়জিত হয় চিংড়ি চাষিদের জাতীয় স্তরের তৃতীয় সম্মেলন। সেখানেই এই দু’টি ফিড একটি কোম্পানির হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করে। এদিন প্রায় ২৫০ জন চিংড়ি চাষির উপস্থিতিতে পুকুরে জাল টেনে পরীক্ষামূলকভাবে ফিডের গুণাগুন দেখিয়েও দেওয়া হয়। 

    সংস্থার কাকদ্বীপ শাখার অধ্যক্ষ ও প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ দেবাশিস দে বলেন, ‘চেন্নাই ও গুজরাতের পর তৃতীয় চিংড়ি চাষি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল পশ্চিমবঙ্গে। নতুন দু’টি ফিড ব্যবহার করে ১১০ দিনে এক একটি চিংড়ি ৩২ গ্রাম ওজনের করা যাচ্ছে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছে মাত্র ১৫০ টাকা। বাজারে এই চিংড়ির পাইকারি দাম রয়েছে ৪২০ টাকা। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)