নামেই জুনিয়র হাই, আট পড়ুয়ার স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসেন মর্জিমাফিক
বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, বারুইপুর: নামেই জুনিয়র হাই স্কুল। কিন্তু খাতায় কলমে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা মাত্র আট। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন তিনজন। অভিযোগ, যাঁরা পড়ান, তাঁরা স্কুলে আসেন মর্জি মতো। মিড ডে মিলের রান্না হয় বটে, তবে তা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এমনই চিত্র বারুইপুরের শঙ্করপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বনসুন্দরিয়ায় কেশবপুর জুনিয়র হাইস্কুলের। এর জেরে এলাকার বাসিন্দারা বেজায় ক্ষুব্ধ। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপক নস্কর বলেন, স্কুলের অবস্থা সত্যি খারাপ। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসনের এক আধিকারিক বিষয়টি দেখছি বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
শঙ্করপুর হাট থেকে কেশবপুর সেতুর দিকে এগলে রাস্তার পাশেই এই স্কুল। স্কুল ভবনের ভিতরের অবস্থা শোচনীয়। বেঞ্চ, টেবিল সবই ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই স্কুলের উল্টোদিকে আছে কেশবপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। সেই স্কুলে অবশ্য পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা যথেষ্ট। কেশবপুর জুনিয়র হাইস্কুলে মিড ডে মিলের রান্নাঘরের অবস্থাও বেহাল। খোলা বারান্দা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে দেওয়াল। দুপুর ১২টার পর স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেউ নেই। তালা ঝুলছে গেটে। এক বাসিন্দা বললেন, স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঠিকমতো আসেন না বলেই ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমেছে। দু’জন শিক্ষিকা, একজন শিক্ষক আছেন। এই স্কুলেই ২০১০ সালেও ৭০ জন পড়ুয়া ছিল। স্কুলের এই অব্যবস্থার দিকে নজর নেই প্রশাসনের। এই স্কুল ঠিকমতো চললে ছাত্র-ছাত্রীদের দূরের স্কুলে যেতে হতো না। এক পড়ুয়া বলেন, আটজন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে কোনও দিন আসে পাঁচজন, কোনও দিন তিনজন। কোনওদিন আবার কেউই আসে না। সেদিন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ১২টা বাজতে না বাজতেই বাড়ি চলে যান। মিড ডে মিলের এক কর্মী বলেন, আমরা এখানে দু’জন রান্নার কাজ করি। রান্নাঘর ঠিক করার কথা সব জায়গায় জানিয়েছি। কাজ হয়নি।