• হাওড়ায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই তৈরি করবেন বোতলবন্দি পরিস্রুত পানীয় জল
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • সুদীপ্ত কুণ্ডু, হাওড়া: গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই এবার থেকে তৈরি করবেন পানীয় জলের বোতল। পাশাপাশি জল পরিস্রুত করে তা বোতলে ভরে বাজারজাত করবেন তাঁরাই। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত গ্রামীণ হাওড়ার মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্যই এবার জেলা পরিষদ প্রতিটি ব্লকের সংঘগুলিকে জলের বোতল তৈরির প্লান্ট করে দেবে। এজন্য খরচ হবে প্রায় ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। সবটাই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা। প্রতিটি ব্লকের জন্য খরচ হবে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। চলতি মাসেই ডাকা হবে টেন্ডার।

    গ্রামীণ হাওড়ার মোট ১৪টি ব্লকে ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতেই রয়েছে একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী। দশ বা তার বেশি গোষ্ঠীকে নিয়ে প্রতিটি ব্লকে রয়েছে সমবায় সঙ্ঘ বা ক্লাস্টার। এবার সেই ক্লাস্টারগুলিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেরাই পানীয় জলের বোতল তৈরি করবেন। ১৪টি ব্লকের গ্রামীণ সঙ্ঘগুলিকে প্লাস্টিকের জলের বোতল তৈরির প্লান্ট উপহার দেবে জেলা পরিষদ। পাশাপাশি গোষ্ঠীর মহিলারা যাতে সেখানে মিনারেল ওয়াটার প্রস্তুত করতে পারেন, সেজন্য একটি করে ইউনিট তৈরি করে দেওয়া হবে তাঁদের। প্রতিটি সঙ্ঘের জলের বোতলের গায়ে আলাদা আলাদা লেবেল থাকবে। সেটিও তৈরি করবেন মহিলারা। 

    এই জল নিয়ে বাজার চলতি নামী দামি সংস্থার সঙ্গে কীভাবে প্রতিযোগিতা চলবে, সেই বিষয়টিও মাথায় রেখেছে জেলা পরিষদ। বিভিন্ন গ্রামে সারা বছর যে সব সরকারি অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি হয়, সেখানে পানীয় জলের বোতল সরবরাহ করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এই মহিলারা। এরপর ধীরে ধীরে বাজার দখলেরও স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হবে। হাওড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তাপস মাইতি বলেন, গ্রামীণ এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আয় বাড়ানো ও নতুন করে কর্মসংস্থান দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। প্রতিযোগিতার বাজারে গোষ্ঠীর তৈরি জলের বোতলের দাম যাতে সর্বনিম্ন থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে পুজোর আগেই হয়তো প্লান্ট পাবে প্রতিটি ব্লক। জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জন কুণ্ডু বলেন, জেলা পরিষদের এই উদ্যোগে গোষ্ঠীর মহিলারা রীতিমতো উৎসাহিত। কোন গোষ্ঠীর মহিলারা কী কাজ করবেন, শীঘ্রই সেই বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)