ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: গভীর রাতে রণক্ষেত্র আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। অভিযোগ, বুধবার রাতে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল বহিরাগত। বেধড়ক মারধর করা হয় কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের। তাদের মারমুখী মেজাজের সামনে ভয় পেতে দেখা গিয়েছে পুলিশকেও। আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকদের মতে, হামলাকারীরা সকলেই কুখ্যাত সমাজবিরোধী। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে ঘটনাস্থলে র্যাফ নামানোও সম্ভব হচ্ছে না।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে (RG Kar Doctor Death) উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে মশালের মতো। এই কাণ্ডে বিচার চেয়ে আজ রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিচারের দাবিতে রাতের বেলা রাজ্যজুড়ে পথে নেমেছেন মহিলারাও। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীনই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল আর জি কর হাসপাতাল। কার্যত বহিরাগতদের দখলে চলে গিয়েছে মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস।
জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে আচমকাই জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ে একদল বহিরাগত। জরুরি বিভাগে ঢোকার আগে কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া জুনিয়রদের বেধড়ক মারধর করে। এমনকি পুলিশের দিকেও তেড়ে যায় এই ‘বাহিনী’। তাদের মারমুখী মেজাজের সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করে পুলিশ। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে আর জি করের দখল সম্পূর্ণ বহিরাগতদের হাতে চলে গিয়েছে বলে খবর।
জরুরি বিভাগে ঢুকে যথেচ্ছ তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। বেড , স্ট্যান্ড ফ্যান, কলের জলের পাইপে লোহার রড দিয়ে ভাঙতে থাকে তারা। ঘটনাস্থল থেকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হামলাকারীদের অনেকের কাঁধ পর্যন্ত চুল। হাতে মোটা লোহার বালা। প্রত্যেকের হাতে মোটা লাঠি। প্রশ্ন উঠছে, কারা এই হামলাকারীরা? জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, এরা সকলেই কুখ্যাত সমাজবিরোধী। তারাই তাণ্ডব চালাচ্ছে হাসপাতালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যাফ নামানোর সিদ্ধান্ত হলেও তা কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না।