এই সময়: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী-চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে উত্তাল কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার বাইরেও। বুধবার প্রাক-স্বাধীনতা দিবসের রাতের রাজপথ দখলের ডাক দিয়ে রাস্তায় নেমেছেন মহিলারা। আন্দোলনকারীদের দাবির সঙ্গে তিনি যে সহমত, সে কথা প্রথম থেকেই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে পরিকল্পিত ভাবে রাজ্যে বিরোধীপক্ষ লঙ্কাকাণ্ড বাধাতে চাইছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের ছকেই পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার করে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে বলে পর্যবেক্ষণ তৃণমূলনেত্রীর।
বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং অতি-বাম সংগঠনগুলি একত্রিত হয়ে এই পরিকল্পনা তৈরি করলেও বিরোধী শিবিরের এই ছকের সামনে তাঁর সরকার যে কোনও ভাবেই মাথা নত করবে না, বুধবার তা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মমতা। বেহালায় তৃণমূলের সভায় এ দিন বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'একটি ইস্যু পেয়েছে, তাই ভাবছে, বানরের পিছনে আগুন লাগিয়ে দাও, লঙ্কাকাণ্ডর মতো করবে! যে ভাবে রামায়ণে করেছিল। এখানে লঙ্কাকাণ্ড করা অত সহজ নয়। ছাত্রছাত্রীরা চরিত্র হনন করছে না। রাজনৈতিক দলগুলো পরিকল্পিত ভাবে করছে।'
কেন বিরোধীদের এই পরিকল্পনা? মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'ওরা মমতাকে সরাতে চায়। রেল থেকে দু'বার সরে এসেছি। আমার সরতে এক সেকেন্ড লাগে। কিন্তু অন্যায়ের কাছে আমি মাথা নত কখনও করিনি।' আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে ডাক্তারি পড়ুয়া, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। দ্রুত সেই আন্দোলনে বাম-বিজেপিও ঢুকে যায়।
বিশেষ করে সিপিএমের ছাত্র-যুব ব্রিগেড কোমর বেঁধে নেমে পড়ে। বেহালার সভায় বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে মমতার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, 'আপনারা কি মনে করেন আমরা ছাইয়ে মুখ ঢেকে আছি? কাগজে মুখ ঢেকে বসে আছি? আমরা আপনাদের চলাচল লক্ষ্য করছি। মিথ্যা কুৎসা অপ্রচারের ঢেউ করছেন। বাংলায় শান্তি থাক, আপনারা চান না।'