• আরজি কর হাসপাতালের হামলায় এককাট্টা বিরোধীরা, পুলিশ কেন নীরব?‌ প্রশ্ন সুকান্তের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • মাঝরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গোটা ঘটনায় বাম–বিজেপি এককাট্টা হয়েছে। তাঁরা এই ঘটনায় সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন। আর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সরাসরি পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। সিপিএম তো রাজ্য সরকারকেই টার্গেট করেছে। যা এখন চর্চিত হচ্ছে।

    এদিকে আরজি কর হাসপাতালে গত শুক্রবার এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারই প্রতিবাদে চলে আন্দোলন। বুধবার রাতে নাগরিক সমাজ জেগে রাস্তার দখল নিয়েছিল। এটাই ছিল প্রতিবাদ। সেখানে আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর, মারধর, তছনছ থেকে গুণ্ডামি চরম আকার ধারণ করে। এই ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পুলিশকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তিনি লেখেন, ‘‌আরজি কর হাসপাতালে বহিরাগতরা তাণ্ডব চালিয়েছে শান্তিপূর্ণ ধরনায়। রাতের অন্ধকারে পুলিশের সামনে এই হামলা করা হয়। তারা কী করে ভিতরে ঢুকতে পারল?‌ পুলিশ কেন নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল?‌ এই ঘটনা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।’‌ সুকান্তের কথায় পুলিশ দায়ী।

    অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃণমূলের গুন্ডাদের পাঠিয়েছিল রাজনৈতিক মিছিলে। ওঁর ধারণা, ওঁর গুন্ডারা আন্দোলনকারীদের ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে গুন্ডামি করবে আরজি কর হাসপাতালে এবং মানুষ কিছু বুঝতে পারবেন না। পুলিশ গুন্ডাদের পালানোর রাস্তা করে দিয়েছে। যে সব জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে, সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। যাতে সিবিআই সেই সব প্রমাণ না পায়। এই বোকা গুন্ডাদের যাবতীয় কীর্তি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। কেন শুধু আরজি করেই‌ হামলা হল?’

    যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দেগেছেন। তার আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অভিষেক লিখেছেন, ‘আরজি করে যে গুন্ডামি হল সেটা সব মাত্রা ছাড়িয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়, সেই আর্জি জানিয়েছি। তাদের রাজনৈতিক যোগ যাই হোক না কেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি ন্যায্য। সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাওয়া তাঁদের ন্যূনতম দাবি। এটাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’‌ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘‌এটা কি ভয় পেয়ে শাসকের চক্রান্ত? তথ্য লোপাটের চেষ্টা?’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)