• ‘‌এই গুণ্ডামি এবার সহ্যের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে’‌, তোপ অভিষেকের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • মাঝরাতে রণক্ষেত্র আরজি কর হাসপাতাল। এই রাতেই জেগেছিল নাগরিক সমাজ। তার মধ্যেই এমন ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। গোটা হাসপাতাল জুড়ে তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে তাণ্ডব দেখে তিনি সরাসরি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেন এবং দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি দিতে আর্জি জানান। রাজপথে যখন গোটা বাংলা তখন আরজি কর হাসপাতালে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। মাঝরাতে ব্য়ারিকেড ভেঙে হাসপাতালে ঢুকে পড়ল একদল দুষ্কৃতী। আর তারপরই চলল জরুরি বিভাগে ভাঙচুর। বাদ গেল না পুলিশের গাড়িও। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাসপাতাল চত্বর।

    এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় সরব হয়েছেন। তাঁর দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের খুঁজে বের করতে হবে পুলিশকে। যদিও আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীই গুন্ডা পাঠিয়ে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে দমাতে চেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিজেপি এবং সিপিএমের যৌথ হাত দেখতে পাচ্ছে। বুধবার মাঝরাতে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল বহিরাগত। খুব মারধর করা হয় কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের। ভেঙে দেওয়া হয় প্রতিবাদ মঞ্চ। আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের মতে, হামলাকারীরা সকলেই কুখ্যাত সমাজবিরোধী।

    অন্যদিকে এই ঘটনার খবর রাতেই পেয়ে অ্যাকশন নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করেন। আর দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বলেন। এক্স হ্যান্ডেলে রাতেই কড়া ভাষায় পোস্ট করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, ‘‌এই গুণ্ডামি এবার সহ্যের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের পাকড়াও করে তাদের আইনিভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছি, এই হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, প্রত্যেককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনি বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হয়ে থাক না কেন।’‌

    এই পোস্টের পর অনেকে আশ্বস্ত হয়েছেন যে রাজ্য সরকার এই কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। বিরোধী দলনেতা যতই এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদল এবং রাজ্য সরকারকে জড়িয়ে দিতে চান অ্যাকশন নিলেই সব বেরিয়ে আসবে। এই হামলায় পুলিশও আক্রান্ত হয়েছে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত অ্যাকশন নিতে বলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক আরও লিখেছেন, ‘‌আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি ন্যায্য। রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাওয়া তাঁদের ন্যূনতম দাবি। এটাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’‌ এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশ কমিশনার। নগরপালের কথায়, ‘‌ডিসি নর্থ প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। এখানে যা হয়েছে তা ভুল প্রচারের জন্য। কলকাতা পুলিশ এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)