আরজি করে ‘ক্রাইম সিন’ অক্ষত? চিন্তায় সিবিআই, জবাব পুলিশের
এই সময় | ১৫ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে বুধবার রাতে তাণ্ডব চালায় এক দল দুষ্কৃতী। আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করল সিবিআই। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তরফে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের ফোন করে জানতে চাওয়া হয় ক্রাইম সিন অর্থাৎ 'প্লেস অফ অকারেন্স'-এ কেউ প্রবেশ করতে পেরেছিল কিনা? এর আগে সেমিনার হলের পাশে একটি ঘর ভাঙা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এরপর গতকালের ঘটনায় আরজি কর হাসপাতালের একতলার জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে একাধিক অংশে ভাঙচুর করা হয়।
সিবিআইকে বিষয়টি নিয়ে জবাব দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সিবিআইকে জানিয়েছে, ক্রাইম সিন অর্থাৎ প্লেস অফ অকারেন্সে কেউ প্রবেশ করতে পারেননি। এ বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কলকাতা পুলিশের তরফে বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘অপরাধ মূলত সেমিনার রুমে হয়েছিল। কিন্তু সেই সেমিনার রুমকে ছোঁয়া পর্যন্ত হয়নি। যাচাই না করে খবর ছড়াবেন না। আমরা গুজব ছড়ানোর জন্য আইনি পদক্ষেপ করছি।’
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার মধ্যরাতে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায়। আরজি করের সামনেও প্রতিবাদে সামিল হন প্রচুর মানুষ। প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে যাওয়া হয় আরজি করের সামনে।
এর মাঝেই হঠাৎ একদল দুষ্কৃতী ঢুকে ভাঙচুর চালায় আরজি কর হাসপাতালে। জরুরি বিভাগের দুটো কোলাপসিবল গেট ভেঙে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। জরুরি বিভাগের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট, অবজার্ভেশন ওয়ার্ড, ফার্মেসি ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়। নষ্ট হয় প্রায় কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্র। আরজি করের বাইরে থাকা পুলিশ ফাঁড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন।