• গতরাতে আরজিকরে কীভাবে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, দেখে নিন টাইম লাইনে
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • অয়ন ঘোষাল: গতকাল আরজি কর হাসপাতালে হামলার নেপথ্যে কারা। এই প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের ভেতরের পরিকাঠামো ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। কোথায় বেড, কোথাও আইসিইউ, কোথাও ফ্রিজ, কোথাও এমআরআই মেশিন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে আরজিকরের অধ্যক্ষ বলেন, ইমার্জেন্সির কাজ ট্রমা কেয়ারে শুরু করা হয়েছে কীভাবে এসব হল তা তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়।

    এদিকে, গতকাল দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব সামনে থেকে দাঁড়িয়ে দেখেছেন নার্সরা। তারা এখন নিরাপাত্তার দাবি করছেন। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তারীরা না থাকলে হয় প্রাণে মারা পড়তাম। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের ধরনা চলবে।

    অন্যদিকে,  গতকালের গটনার ২১ জনের ছবি প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিস। ওইসব ছবি প্রকাশ করে আবেদন করা হয়েছে অভিযুক্তদের খবর যেন তারা থানায় দেন।

    গতকাল একটু রাত হতেই তাণ্ডব শুরু হয় আরজিকরে। ধাপে ধাপে কীভাবে তা হল দেখুন-

    সন্ধ্যে সাড়ে ৭ টা।

    মেইন গেটে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের।

    রাত সাড়ে ১১ টা

    পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারী দের বচসা শুরু। পুলিশ গার্ড রেল বসাতে গেলে আপত্তি। গার্ড রেল ধরে ধাক্কাধাক্কি। পুলিশি বেষ্টনী ভেঙে ভিতরে প্রবেশ জনতার।

    রাত ১২ টা

    একদল যুবক ঢুকে পড়ে ইমারজেন্সি বিভাগে। তাদের হাতে বাঁশ এবং লোহার রড। এরা আগে থেকেই সাধারণ বিক্ষোভকারী দের মধ্যে ভিড়ে মিশে ছিল বলে অনুমান।

    রাত ১২ টা ১৫ মিনিট

    নির্বিচারে তান্ডব ইমারজেন্সি বিভাগে। পরপর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে থাকে ইমারজেন্সি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, মেইন ওয়ার্ড, আই সি ইউ, এইচ ডি ইউ, এইচ সি সি ইউ, নার্সেস রেস্ট রুম, দুটি শৌচালয় এবং ভিতরে থাকা পুলিশ ফাঁড়ি। রাত ২ টা পর্যন্ত এই তান্ডব চলে।

    রাত ১২ টা ২০

    জি ২৪ ঘণ্টা প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ মালাকারের গাড়ি এবং ক্যামেরা ভাঙচুর। মারধর করা হয় সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যানকে।

    রাত ১ টা

    এরইমধ্যে রাত ১ টায় ভিতর থেকে কিছু যুবক বাইরে বেরিয়ে আসে। তারা বাইরের ধর্না মঞ্চের ওপর চড়াও হয়। ব্যাপক ভাঙচুর চলে বাইরের মঞ্চ, গাছের টব, পুলিশের MAY I HELP YOU কিয়স্ক সহ বেশ কিছু এলাকায়।

    রাত ২ টা ৫

    পুলিসের দুটি গাড়িতে ভাঙচুর। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি। পুলিশের পাল্টা লাঠি চার্জ, কাঁদানে গ্যাস।

    রাত ২.৩০

    শুরু হল জেনারেল বডি মিটিং। বেরিয়ে এসে পড়ুয়াদের প্রতিনিধি জানান জরুরি বিভাগ এবং আউটডোর সহ সমস্ত পরিষেবা অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখা হচ্ছে।

    রাত ৩ টে

    পৌঁছালেন নগরপাল বিনীত গোয়েল। তিনি ইমারজেন্সি বিভাগ ঘুরে দেখেন। তিনি জানান সেমিনার হল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি দুষ্কৃতীরা।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)