নিরাপত্তায় গলদ কেন? অধ্যক্ষকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ আরজি করে
এই সময় | ১৫ আগস্ট ২০২৪
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা কোথায়? হাসপাতালে ঢুকে বহিরাগতরা তাণ্ডব চালাল কী করে? পুলিশ কেন তাদের আটকাতে পারেনি? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে সামনে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। আজ, বৃহস্পতিবার এক ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।বৃহস্পতিবার দুপুরে আরজি করে গিয়েছিলেন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল। তাঁকে দেখেই ঘেরাও করেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। অধ্যক্ষের ঘরে প্রবেশের আগেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। বুধবার মাঝরাতে এরকম ধরনের হামলা কেন ঘটল? কেন সঠিক পুলিশি প্রহরা ছিল না, সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা চাই, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে অধ্যক্ষের বৈঠক হোক। কেন রাতে হাসপাতালের নিরাপত্তায় গলদ ছিল, সেটা জানাতে হবে। হাসপাতালের মধ্যে আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে।’
আন্দোলনকারীদের দাবি, রাতে হামলাকারীরা এসে দরজায় লাথি মারছিল। পুলিশ কর্মীরা লুকিয়ে পড়েছিল। হামলা চালানোর সময় পুলিশ ‘নীরব দর্শক’-এর ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। তাঁদের প্রশ্ন, দুষ্কৃতীদের দেখে কেন পুলিশকে পালিয়ে যেতে হল? কেন হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদ ছিল? ডিসি নর্থকে কেন ফোন করে পাওয়া যায়নি, সে ব্যাপারেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা।
অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল বলেন, ‘আমি প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছি। আমাকে কিছু কাজ করতে দিন। তাহলেই তো আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণ করতে পারব।’ ক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য কতজন পুলিশ কর্মী প্রয়োজন সেটা তাঁর পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়ে দেন।
পুলিশ কমিশনার নিজে হাসপাতালে যেতে পারেন। তখনই কমিশনারের সঙ্গে অধ্যক্ষ বৈঠক করে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করুক, এমনটাই দাবি জানান চিকিৎসকরা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কী কী বন্দোবস্ত নেবে, সে ব্যাপারে জানাতে হবে।