• অ্যাপ ক্যাব নিয়ে দিঘায় গিয়ে বিপদে চালকরাই
    এই সময় | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: দুপুর হওয়ার আগেই কলকাতা থেকে তিনজনকে নিয়ে দিঘায় এসে পড়েছিলেন অ্যাপ ক্যাবের চালক সৌরভ বেরা। যাত্রীদের নামিয়ে একটা হোটেলে গিয়ে খাওয়ার পর্ব চুকিয়ে ফের অ্যাপটা চালু করেছিলেন তিনি। কলকাতা অনেকটা পথ। একেবারে ফাঁকা গাড়ি নিয়ে ফেরা মানে পুরোটাই তো লস, যদি কোনও প্যাসেঞ্জার পাওয়া যায়। পেয়েও গেলেন। অ্যাপ চালু করতেই একটা বুকিং।গাড়িটা নিয়ে সেখানে পৌঁছে সৌরভ দেখলেন কোনও প্যাসেঞ্জার নয়, কয়েকজন গাড়িচালক তাঁর অপেক্ষায়। সৌরভ বলছেন, ‘আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রথমে চাবি কেড়ে নেওয়া হলো। তারপর গলা টিপে শাসানো হলো, দিঘায় এসে অ্যাপে যাত্রী তুলে কলকাতায় যাওয়া যাবে না।’

    সৌরভ বেরা একা নন। একই সমস্যায় পড়েছেন রাজারাম বিশ্বাস, দেবেশ গিরি, মহম্মদ ওয়াসিম, অলোক সরকার, মৈনাক মণ্ডল এবং আরও অনেক অ্যাপ ক্যাব চালক-ই। ওঁদের অভিজ্ঞতা মোটের ওপর একই রকম। অ্যাপ ক্যাবে কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার ভাড়া সাড়ে তিন হাজার টাকার কাছাকাছি। এখান থেকে ক্যাবে দিঘা যাওয়ার প্যাসেঞ্জার যথেষ্টই আছেন। কিন্তু সমস্যা হয় সেখানে পৌঁছনোর পরে।

    অ্যাপ ক্যাব চালকরা বলছেন, ‘কলকাতা আসার ফিরতি পথে যাত্রী না পেলে আমাদের ক্ষতি। পুরো রাস্তাটা যাতে গাড়ি খালি না আসে, সে জন্য আমরা কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করি এবং বুকিং অ্যাপ খুলে রাখি। কলকাতার লোকজন নিজেরাও আগে অ্যাপ থেকেই ফেরার গাড়ি সার্চ করেন। দিঘা থেকে ফিরতি ট্রিপে প্যাসেঞ্জার হয়ে যায়।’

    চালকদের অভিযোগ, ‘প্যাসেঞ্জারদের একটা বড় অংশ অ্যাপ ক্যাবে ভরসা করতে শুরু করায় স্থানীয় ট্যাক্সিচালকরা প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন। সেই কারণেই আমাদের আটকাতে শুরু হয়েছে উদ্যোগ।’

    অ্যাপ ক্যাব চালকদের সংগঠন অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘দিঘার চালকদের একটা অংশ প্রথমে অ্যাপ খুলে দেখছেন কাছাকাছি কোন ক্যাব রয়েছে। তারপর তাঁরা সেই ক্যাব বুক করছেন। চালক ‘প্যাসেঞ্জার’ তুলতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন। তাঁদের মারধর পর্যন্ত করা হচ্ছে।’

    সংগঠন জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ জানানো হয়েছে পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনের কাছেও।
  • Link to this news (এই সময়)