বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আরজি কর মেডিক্যালে তাণ্ডবের ঘটনার বিবরণ চেয়ে কলকাতা পুলিশের আধিকারিককে ফোন করলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী। বৃহস্পতিবার সকালে ফোনে চার তলার যে সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছিল সেখানে ভাঙচুর হয়েছে কি না তা জানতে চান সিবিআইয়ের ওই আধিকারিক। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, চার তলার ওই ঘর সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে।
পড়তে থাকুন - 'সন্তানের জন্ম দেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন সন্দীপ ঘোষ'
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যে হামলা হয়েছে তাতে অপরাধের অকুস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সেই ঘরটি তালাবন্ধই রয়েছে। কিছু লোক ওই ঘরে ভাঙচুর হয়েছে বলে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যা অসত্য। এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছে কলকাতা পুলিশ।
বুধবার বিকেলে মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনার তদন্তে আরজি কর মেডিক্যালে পৌঁছন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চার তলায় বক্ষরোগ বিভাগের সেমিনার হলে যেখানে মহিলা চিকিৎসকে খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছিল সেখানে যান তাঁরা। প্রায় ৭ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। গোটা ঘর খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন তাঁরা। বহু ছবি তোলেন। সংগ্রহ করেন নমুনা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে আরজি কর মেডিক্যালে বেলাগাম তাণ্ডবের ঘটনায় ওই ঘরের তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার পর আরজি কর মেডিক্যালের ওই ঘরের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা ভাবছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সেক্ষেত্রে চার তলায় মোতায়েন হতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানে নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে সাধারণ রোগীদের গতিবিধি।