• ‘‌সেমিনার রুম স্পর্শ পর্যন্ত করা হয়নি’‌, আরজি কর হামলায় স্পষ্ট করল কলকাতা পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ আগস্ট ২০২৪
  • স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাজপথে নেমেছিল নাগরিক সমাজ। আর সেই রাতেই প্রতিবাদ কর্মসূচির মাঝে আরজি কর হাসপাতালে চলল বহিরাগতদের তাণ্ডব। এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়েছে। বুধবার মাঝরাতের ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট আরজি কর হাসপাতালে বলে খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, হাসপাতালের চারতলায় ফুসফুস এবং চেস্ট বিভাগের যে সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই দাবির প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই সেমিনার রুম ‘সম্পূর্ণ অক্ষত’ আছে। এই গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার।

    এদিকে বাইরে থেকে একদল দুষ্কৃতী হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হামলায় তছনছ হয়ে গিয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ , ওষুধের স্টোর রুমও। তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং তদন্তের কাজ ব্যাহত করতেই দুষ্কৃতীরা এমন কাজ করেছে বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দাবি করতে শুরু করেছে। জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋজু দত্ত পাল্টা ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেন, সিপিএম তাদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই–কে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস ডিজিটাল।

    অন্যদিকে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে পোস্ট করা হয়। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করার দাবি এবং ভিডিয়ো সম্বলিত একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখা হয়, ‘‌অপরাধ সেমিনার রুমে হয়েছিল। আর সেই সেমিনার রুমকে স্পর্শ পর্যন্ত করা হয়নি। যাচাই না করা খবর ছড়াবেন না। আমরা গুজব ছড়ানোর জন্য আইনি পদক্ষেপ করছি।’‌ জরুরি বিভাগের দুটো কোলাপসিবল গেট ভেঙে ফেলা হয়েছে। জরুরি বিভাগের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে, অবজার্ভেশন ওয়ার্ড, ফার্মেসির ক্ষতি করা হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্র। আরজি কর হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।

    এছাড়া একদল উন্মত্ত লোকজন হঠাৎই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল চত্বরে তাণ্ডব চালায় দুষ্কতীদের লেঠেল বাহিনী। পরে একঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন হামলাকারীদের ছোড়া ইটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। রাতে আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছে নগরপাল বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন একেবারেই নিয়ন্ত্রণে। দোষীদের চিহ্নিত করে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। ডিসি নর্থ প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। এখানে যা হয়েছে সেটা ভুল প্রচারের জন্য। কলকাতা পুলিশ এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)