‘বহিরাগত কিছু লোক…’, আরজি করে হামলার ঘটনায় মুখ খুললেন মমতা
এই সময় | ১৬ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে বুধবার মধ্যরাতে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। তারা কি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত? এ নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘রাম-বাম’ মিলে হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাজভবনে একটি চা-চক্রে বৃহস্পতিবার উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই আরজি করে হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। মমতা বলেন, ‘যে ক্ষতি কালকে হয়েছে, যারা এই তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা আরজি করের ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নয়, তারা বহিরাগত।’ আরজি করের আক্রমণের ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো ক্লিপ তিনি নিজে দেখেছেন বলেও জানান।
তবে, বহিরাগত কারা? রাজ্যের বিরোধী দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে মমতা বলেন, ‘আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি, তাতে বহিরাগত কিছু রাজনৈতিক লোক যারা বাংলাটাকে অশান্ত করতে চায়, বাম এবং রাম, তারা একত্রিত হয়ে এই গন্ডগোলটা করেছে। আমি ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও দোষ দিচ্ছি না।’ তাঁর কথায়, ‘পুলিশের অনেকেই মার খেয়েছে। আমি সাধুবাদ দেব, কাউকে তাঁরা পালটা আক্রমণ করেনি। তাঁদের সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায়নি।’
হাসপাতালের প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে কালকের ঘটনায়। প্রচুর যন্ত্রপাতি, ওষুধ, আসবাবপত্র ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয় নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ কর্মীদের আঘাত করার কারণ কী? সেই বিষয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘পুলিশকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, আমরা কি একবারও ভাবি, দুর্গাপুজোর সময় নিরাপত্তা দেয় কারা? কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। খেলা, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সবই তো তাঁরা করে। তাঁদের মারধর করা হল কেন?’
তবে, আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি নিয়ে এদিন দিনভর বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সরা। হাসপাতালে কি নিরাপত্তা আর বাড়ানো হবে? সেই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আরজি কর হাসপাতলে নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যাপারে আমি বলতে পারব না। সেটা কলকাতা পুলিশ বলবে। যে নিরাপত্তা দেয়, তাকেই মারা হল। নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁরাই দেখবেন।’