আর জি কর কাণ্ডে চোখে জল রচনার, অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি
প্রতিদিন | ১৬ আগস্ট ২০২৪
সুমন করাতি, হুগলি: আর জি কর কাণ্ডের বীভৎসতায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। মাঝে কেটে গিয়েছে দিনসাতেক। তা-ও আন্দোলন যেন সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে মুখ খুললেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় চোখে জল তাঁর। কড়া শাস্তির দাবিও জানান তারকা সাংসদ।
রচনা বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা কতটা স্বাধীন হয়েছি? আমরা কী স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছি? দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর ? একটার পর একটা ঘটনা। আমরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব, সেটাই প্রশ্ন। আমরা কেন করতে পারছি না? আর জি করের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। মুখে আনা যায় না।” কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন রচনা। চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, “দিনের শেষে কাজ করে গাড়ি করে ফিরি, সব মানুষ তা পান না। অনেক মহিলা হেঁটে, বাসে ঝুলতে ঝুলতে বাড়ি ফেরেন। কেউ ট্যাক্সি, অটো করে ফেরেন। তাঁরা যখন ফেরেন হয়তো এখন মনে হচ্ছে বাড়িতে ঠিকমতো পৌঁছতে পারব তো? কেন হবে বলুন তো? মাথা উঁচু করে বাঁচব আমরা। পুরুষ মানুষ আমাকে দেখলে সম্মান করবে, বাঁচানোর চেষ্টা করবে, বিপদে পড়লে হাত ধরে বাড়ি পৌঁছে দেবে। পুরুষ মানুষের জাত কি এমন হবে আমাকে ছিঁড়ে খাবে?”
আর জি করের মতো এমন অন্যায়কে রুখতে কঠিন পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থায় বদল আনা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারকা সাংসদ। সুবিচার এবং অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানান তারকা সাংসদ। এছাড়া রাতের রাস্তায় বুধবার যাঁরা মিছিল করেছেন, সেই মহিলাদের কুর্নিশ জানান রচনা।
আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট নাইট ডিউটি করতে গিয়ে নৃশংস অত্যাচারের শিকার হন তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে তাঁর প্রায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করা হয়। মহিলা হওয়া সত্ত্বেও কেন বহু রাজনীতিক মুখ খুলছেন না তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই তালিকায় ছিলেন রচনাও। অবশেষে সাতদিন পর মুখ খুললেন হুগলির তারকা সাংসদ।