আর জি করের অধ্যক্ষকে নিয়ে বেরল CBI, নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে?
প্রতিদিন | ১৬ আগস্ট ২০২৪
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে নিয়ে বেরল সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ আন্দোলনকারীরা ঘেরাও করে রেখেছিলেন তাঁকে। সন্ধের দিকে সিবিআই হাসপাতালে পৌঁছয়। বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতালে বসেই অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। এর পর রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বেরন তিনি। এর পর নিজের গাড়িতে ওঠেন। সূত্রের খবর, তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশি ঘেরাটোপে হাসপাতালে ঢোকেন ডাঃ সুহৃতা পাল। নার্সদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। নার্সদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমিও নিরাপত্তা দিতে চাই। আমার জন্মের পর এমন ঘটনা দেখিনি, তোমরা বিশ্বাস করো। আজ থেকে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।” তাতে নার্সরা পালটা দাবি করেন, “আজ রাতে আপনাকেও থাকতে হবে।” প্রিন্সিপাল বলেন, “এক-দুদিন সময় দাও। স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।” তাতে উত্তেজিত হয়ে পড়ুয়ারা সমস্বরে বলতে শুরু করেন, “মিটিং পে মিটিং, কাজ কী হচ্ছে? নিরাপত্তা নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি চাই। বলুন দেবেন।” এর পর তাঁরা স্লোগান তোলেন, ‘নো সেফটি, নো সার্ভিস।’ প্রিন্সিপাল বলেন, “সময় দিতে হবে। সব সমাধানের চেষ্টা করব।” ডেডলাইন পার হওয়ার পরেও নিরাপত্তা নিয়ে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি না মেলায় সন্ধের দিকে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আর জি কর। প্রিন্সিপাল ঘেরাও করে অফিস ঘরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছয় সিবিআই। হাসপাতালে বুধবার মধ্যরাতে তাণ্ডবের পর বৃহস্পতিবার সন্ধেয় প্রথমবার হাসপাতালে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ-সহ একাধিক জায়গা পরিদর্শন করে সিবিআই। এর পর প্রিন্সিপালের ঘরে পৌঁছন আধিকারিকরা। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। এর পর রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বিক্ষোভকারীদের সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টায় প্রিন্সিপালকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের সময় এই হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন না ডাঃ সুহৃতা পাল। সিবিআইয়ের কথামতো এর পরই ঘেরাওমুক্ত হন অধ্যক্ষ। সিবিআই আধিকারিকরা অধ্যক্ষকে নিয়ে বেরন। সেই সময় অধ্যক্ষকে লক্ষ্য করে ‘হায়, হায়’ স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এর পর নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন। সূত্রের খবর, সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অধ্যক্ষকে।