• আরজি করে তাণ্ডবে তদন্ত ব্যাহত? হাইকোর্টের যাওয়ার সম্ভাবনা মৃতের পরিবারের
    এই সময় | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের ঘটনায় মূল তদন্ত ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার ও অন্যান্য জনস্বার্থ মামলাকারী। অথচ ঘটনার একদিন পরেও ওই তাণ্ডবে পুলিশ উল্লেখযোগ্য কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। বিষয়টি নিয়ে কাল, শুক্রবার হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রবল সম্ভাবনা পরিবার তরফে।অন্যান্য জনস্বার্থ মামলাকারীদের দাবি, যেভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে আরজি করে তাণ্ডব হয়েছে, তা মূল তদন্ত ভেস্তে দেওয়ার জন্যই। তাই এই ঘটনারও তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন করা হতে পারে প্রধান বিচারপতির কাছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, হাইকোর্ট দায়িত্ব দেওয়ার পর এই ভাঙচুরের তদন্ত ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কায় সিবিআইয়েরও প্রধান বিচারপতির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা উচিত। যদিও কেন্দ্রীয় এজেন্সির বক্তব্য, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রিপোর্টেই যা বলার, তদন্তকারীরা বলবেন। আলাদা করে বিষয়টি নিয়ে এখনই নালিশ করতে চায় না সিবিআই।

    আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে বুধবার মধ্যরাতে প্রতিবাদে নামেন মহিলারা। মহিলাদের প্রতিবাদে সামিল হন সাধারণ মানুষও। এর মাঝেই হঠাৎ আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালায় কিছু দুষ্কৃতী।

    হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সহ বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করা হয়। প্রাথমিকভাবে, এই হামলার ঘটনা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ বলে দাবি চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তকে বিলম্বিত করতে এবং চিকিৎসকদের আন্দোলনকে থামিয়ে দিতেই এই হামলার ঘটনা বলে দাবি করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার আরজি কর হত্যা মামলার তদন্ত ভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। দায়িত্ব নিয়েই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবারও আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার রাতের হামলার ঘটনার পর এদিন সকালেই কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। হামলার ঘটনায় আরজি করে সেমিনার হলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, সে ব্যাপরে জানতে চাওয়া হয়।
  • Link to this news (এই সময়)