• দাম্পত্য বিবাদ, হরিয়ানায় বাপের বাড়ি ফিরেই সে রাজ্যের পুলিস দিয়ে স্বামীকে জব্দ করার চেষ্টা! বাধ সাধল কলকাতা হাইকোর্ট
    বর্তমান | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • শুভঙ্কর বসু, কলকাতা: মাত্র তিন মাস সংসার করেছিলেন বধূ। মনোমালিন্য হওয়ায় ফিরে যান হরিয়ানায় বাপের বাড়িতে। এখন স্বামীকে জব্দ করতে সে রাজ্যের পুলিস দিয়ে নোটিস পাঠিয়েছেন তিনি। যার জেরে উপায় না দেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন স্বামী।

    মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ৯ জুলাই মধ্য কলকাতার এলাকার বাসিন্দা সচিন মেহেতার (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে বিবাহ হয় হরিয়ানার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা বর্মার(নাম পরিবর্তিত) । বিয়ের পর কিছুদিন সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। এরপর আগস্ট মাসের শুরুতে কুলু মানালিতে হনিমুনে যান দম্পতি। সেখানেই বিপত্তির সূত্রপাত। হনিমুন চলাকালীন উভয়ের মধ্যে তুমুল বিবাদ শুরু হয়। শচীনের অভিযোগ স্ত্রীর দাবি ছিল পরিবার ছেড়ে তার সঙ্গে অন্য কোথাও থাকতে হবে। আরও অভিযোগ, শচীনদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। স্ত্রী সেই ব্যবসারও ভাগ চাইছেন। আর তাতে আপত্তি করাতেই ঝামেলার সূত্রপাত। হনিমুন থেকে ফিরে আসার পর বিবাদ আরও চরমে পৌঁছয়। উভয়ের মধ্যে নিত্যদিন অশান্তি ঝগড়া লেগেই থাকত। শেষমেশ ১৪ আগস্ট শশুড় বাড়ি ছেড়ে হয়িানায় বাপের বাড়ি চলে যান প্রিয়াঙ্কা। এই ঘটনার কিছু দিন পর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করেন শচীন।

    বিচ্ছেদ মামলা রুজু করার কিছু দিন পরই হরিয়ানার পাঁচকুলা থানা থেকে সচীনের কাছে একটি নোটিস আসে। কোনও কারণ না দেখিয়েই তাঁকে থানায় হাজিরার নির্দেশ দেন পাঁচকুলা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। এই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শচীন। মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, কোনও কারণ বা তথ্য না জানিয়ে ৪১এ ধারায় এভাবে নোটিস দেওয়া যায় না। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আপাতত হরিয়ানার পাঁচকুলা থানার জারি করা নোটিসে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি।
  • Link to this news (বর্তমান)