• গঙ্গাসাগরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হোস্টেল গড়ছে রাজ্য, এবারের মেলায় উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
    বর্তমান | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুধু মকর সংক্রান্তিতে পূণ্য স্নান নয়।  বর্তমানে প্রায় বারো মাসই পর্যটকদের যাতায়াত লেগে থাকে সাগর দ্বীপে। কপিল মুনি আশ্রমে পুজো দেওয়া তো রয়েইছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতেও ভিড় জমান বহু পর্যটক। সামগ্রিক ভাবে মেলার সময়ে সারা ভারত থেকে আসা পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে বছরের অন্যান্য সময় আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হোস্টেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের গঙ্গাসাগর মেলার আগেই পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্নের শীর্ষমহল। আর এই সময়সীমাকে মাথায় রেখেই আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়িটি তৈরি কাজ শেষ করারও টার্গেট ধার্য করা হয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।

    বিভিন্ন দপ্তরের বাড়ি বা অফিস বিল্ডিং ইত্যাদি পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজের দায়িত্ব পরে পূর্ত দপ্তরের কাঁধে।  পর্যটন ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের একাধিক প্রকল্পের কাজ করছে পূর্ত দপ্তর। সেই সমস্ত প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত মন্ত্রী পুলক রায় এবং পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন সহ পদস্থ কর্তারা। ইন্দ্রনীলের কাঁধেই রয়েছে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্ব। সূত্রের খবর, একাধিক গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলেও আলোচনা হয়েছে। প্রতি বছর, জানুয়ারির একেবারে শুরুতে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সেই সময় তাঁর হাতেই এই নতুন সুবিশাল হোস্টেলের উদ্বোধনেরও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পর্যটন এই হোস্টেল চালু হলে মেলার সময় তো বটেই বছরের অন্যান্য সময়েও পুণ্যার্থীদের থাকার ব্যবস্থা আরও ভালো হবে বলেও রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।

    এদিনের বৈঠকে আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। যার মধ্যে রয়েছে পর্যটন দপ্তরেরই গন্ধিঘাট সংলগ্ন এলাকা সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প। ১৮ কোটি টাকা অর্থ মূল্যের এই প্রকল্পের নাম 'উৎসধারা'। এর কাজ ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। অন্যদিকে, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরেরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দায়িত্ব রয়েছে পূর্ত দপ্তরের উপরে। যেমন টালিগঞ্জের চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবন এবং প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডের কাছে মিউজিক অ্যাকাডেমি বিল্ডিংয়ের বাকি কাজ শেষ করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
  • Link to this news (বর্তমান)