• নাম বাদের তালিকায় কারা, তটস্থ তৃণমূল শিবির
    বর্তমান | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • রাহুল চক্রবর্তী, কলকাতা: দলের সংগঠনের রদবদল হবে তা একেবারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই বক্তব্য সামনে আসার পর তৃণমূল শিবিরে এখন তুমুল কৌতূহলের কারণ রদবদলে তালিকায় কোন কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা দলীয় পদাধিকারী বাদ পড়তে চলেছেন।

    দলীয় সংগঠনে পারফরম্যান্স হল সর্বশেষ শব্দ। এই আপ্ত বাক্যটি দিন কয়েক আগে একেবারে প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। যেখানে তাঁর মূল বক্তব্যই ছিল, দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটাই হবে আপনার নির্ণায়ক পরিচয়। আর মানুষের জন্য যদি আপনি কাজ করতে পারেন এবং বছরভর পাশে থাকেন, তাহলে ভোটের সময়ও মানুষ আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে দেখা গিয়েছে শহরাঞ্চলের একটা বড় অংশের মানুষ তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। আর এই প্রেক্ষাপটটাই উঠে এসেছে দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে। শহরে তৃণমূলের বাক্সে ভোট কেন কম এসেছে, সেটা পর্যালোচনা করা হয়েছে। যেখানে বেশ কিছু নেতা, জনপ্রতিনিধির আচরণ এবং কাজকর্মে সন্তুষ্ট নয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অভিমত, যদি ওই সংশ্লিষ্ট নেতা এলাকায় কাজ করেই থাকেন তাহলে সেখানে খারাপ ফল হল কেন? মানুষ কেনইবা তৃণমূল থেকে সরে গেলেন? এই পারফরমেন্সের নিরিখেই তৃণমূলের সংগঠনের রদবদল হতে চলেছে। কোন স্তরে রদবদল হবে সেটাই এখন মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। যেহেতু শহরাঞ্চলে তৃণমূলের ভোট বাক্সে মানুষের সমর্থন আসেনি, সেক্ষেত্রে ওই এলাকার নাগরিক পরিষেবা দিতে কোথাও পুরসভার চেয়ারম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন এমন কথাও উঠে এসেছে। তাই সেক্ষেত্রে পুরসভার কয়েকজন চেয়ারম্যানও বদল হবে। এছাড়াও দলের সংগঠনে যারা কাজ করছেন না, বাড়িতে বসে থাকছেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কোনও সক্রিয় ভূমিকা নেই, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এদের নামও বিচার-বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। এছাড়াও লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূলের সংসদ এবং বিধায়করা প্রত্যেকের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ওই রিপোর্টটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তাতে ব্লক, অঞ্চল এবং জেলা স্তরের যে সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। মোটামুটি তৃণমূল সূত্রে যা খবর তাতে পুজো এবং উৎসব পর্ব মিটলেই এই ব্যাপক রদবদল হবে। তৃণমূল চাইছে ২০২৫ সালের প্রতিষ্ঠা দিবসের লগ্ন থেকেই দলকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলতে এবং জনমুখী করতে। কারণ ঠিক এক বছর পরই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)