•  উঁচু হয়েছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে, বিস্তীর্ণ এলাকা জলবন্দী হওয়ার আশঙ্কা
    বর্তমান | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, বারাকপুর: কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সাড়ে তিন ফুট উঁচু হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়ে চওড়া হয়েছে ৬০ ফুট। ৫৮ টি আন্ডার পাস তৈরি হয়েছে।কিন্তু জল নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। রীতিমত বাঁধের মত হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তাটি। পশ্চিম দিকের জল পূর্ব দিকে যাচ্ছে না, তাই একটু বৃষ্টিতেই সোদপুর মুড়াগাছার মোড় থেকে কাঁচরাপাড়ার কাপা মোর পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদে। আর জল দাঁড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। হাইওয়ের ধারে যে খাল গুলি রয়েছে, নিউ সোনাই খাল, নোয়াই খাল, ইছাপুর খাল, ত্রিমোহিনী খালে জল ফেলার কোন সুব্যবস্থা নেই। খালগুলির অবস্থা ও খারাপ। সবমিলিয়ে এবারের বর্ষায় বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে জলবন্দী হয়ে থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    ইতিমধ্যে সেচ দপ্তর, পূর্ত দপ্তর, কেএমডিএ, হাইওয়ে ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়াররা সরজমিনে ঘুরে দেখে নতুন করে নিকাশি নালার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু ডিপিআর তৈরি করে সেই কাজ শুরু করতে কয়েক মাস লেগে যাবে, আগামী সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সময় বারাকপুর, ভাটপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর কাঁচরাপাড়া পৌরসভার সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় জলজমার তীব্র সমস্যা কাটার কোন সম্ভাবনা নেই। এইসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ জোরে বৃষ্টি হলে জলবন্দী হয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।।

    ইতিমধ্যেই সমস্যা সমাধানের জন্য নবান্নে পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, স্থানীয় সাংসদ পার্থ ভৌমিকের উপস্থিতিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে।। সেইসব ড্রেন তৈরি করতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার ধারের দখলদার এবং স্থায়ী বাড়ি। নীলগঞ্জ রোডের ওপরে রাস্তার ধার গেছে তৈরি হয়েছে দোতলা বাড়ি। সেইসব সমীক্ষা করে ওইসব বাড়িগুলিকে নোটিশ দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে অনুরোধ করেছেন পার্থ ভৌমিক।

     তিনি জানিয়েছেন, ভূমি রাজস্ব দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক সমীক্ষার পর সমস্ত দখলদার উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে। এটা কোন প্রতিবন্ধকতা হবে না। এবারের বর্ষা একটু কষ্ট হবে, এইসব অঞ্চলের মানুষের। নতুন করে ড্রেন তৈরির ডিপিআর হচ্ছে। আগামী মাসের প্রথম দিকে আমরা আবার রিভিউতে বসবো। আগামী বছরের বর্ষার আগে সমস্ত ড্রেন তৈরি হয়ে যাবে। মানুষের আর সমস্যা হবে না।
  • Link to this news (বর্তমান)