• ‌আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে পারব‌‌? চোখে জল সাংসদের...
    আজকাল | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি:‌ ‘‌আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব’‌। আরজি কর ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আক্ষেপ সাংসদের, চোখে জল! সম্প্রতি কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্য। অবিলম্বে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার মহিলা। স্লোগান উঠেছে ‘‌উই ওয়ান্ট জাস্টিস’‌। এবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানালেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। কিছুটা আবেগপ্রবণ সাংসদ। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‌আমি আপনাদের সকলের সামনে এসেছি সাধারণ নাগরিক হিসেবে। আমি একজনের মা। একজনের মেয়ে। আজ ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস। দেশ আমাদের স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আমরা কতটা স্বাধীন হয়েছি? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন হয়েছি? আমরা কি স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছি? সারা ভারতবর্ষের মহিলারা কি আজ স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছে? দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মনিপুর সেখানে একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে। আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব। আমরা কেন সেটা করতে পারছি না। কলকাতার আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। মুখে আনা যায় না, যা ঘটেছে। আমরা প্রতিবাদের সুর তুলেছি। আওয়াজ তুলেছি। আমরা রাস্তায় হাঁটছি। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। এরকম মহিলাদের আওয়াজ আমার মনে হয় না ভারতবর্ষে এর আগে কোথাও উঠেছে‌। তাই সব মহিলাদের আমি স্যালুট জানাই। আপনারা যা করেছেন তার জন্য আমি মহিলা হিসেবে আপনাদের সঙ্গে আছি। এই আওয়াজ উঠিয়ে রাখবেন যতক্ষণ না সুবিচার পায় ওই নির্যাতিতা। তার বাবা মা যেন সুবিচার পায়। দোষী যেন শাস্তি পায়।’‌

    তিনি আরও বলেন, দিনের শেষে যখন রাতে কাজ শেষে গাড়ি করে বাড়ি ফিরি। অনেক মানুষ অনেক মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফেরে। কেউ বাসে ফেরে, কেউ ট্যাক্সিতে ফেরে। অনেকে অনেক কষ্ট করে বাড়ি ফেরে। এখন আমার মনে হয় আমি বাড়িতে ঠিকভাবে পৌঁছতে পারব তো! কেন এমন হবে? মাথা উঁচু করে বাঁচবো। মাথা উঁচু করে চলবো। আমি একজনের বোন। একজনের মেয়ে। পুরুষ মানুষ আমাকে দেখে সম্মান করবে। আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে। আমি বিপদে পড়লে আমার হাত ধরে বাড়ি পৌঁছে দেবে। এটাই তো পুরুষ মানুষের জাত হওয়া উচিত। তাদের জাত কি এমন হওয়া উচিত আমি কাঁদবো আমার আওয়াজ বাইরে পৌঁছবে না। আমাকে ছিঁড়ে খাবে? কেন এমন হবে? আমাদের এর জন্য কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতীয় সংবিধানের বিচারব্যবস্থা এমন হতে হবে যে কোনও মেয়ের দিকে কোনও পুরুষ কুনজর দিতে পারবে না। তাদের শাস্তি এমন হবে। তখন তারা ভাববে এটা তারা করবে কিনা। এরকম শাস্তি হওয়া উচিত। যারা প্রতিবাদের সুর তুলেছেন এই অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়া উচিত। যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীর শাস্তি পাওয়া উচিত। সবাইকে একজোট হতে হবে। আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। কখনও ভাববেন না আমরা শিল্পী, রাজনীতির মানুষ আমাদের মন আপনাদের জন্য ভাবে না কাঁদে না। ভারতবর্ষের যে সমস্ত মহিলারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা সকলেই সুবিচার পাক। উই ওয়ান্ট জাস্টিস।
  • Link to this news (আজকাল)