আরজি করে হামলার ঘটনায় পুলিশকে ভর্ৎসনা, হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
এই সময় | ১৬ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে বুধবার মধ্যরাতে হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। পাশপাশি, আরজি করের চার তলার সেমিনার হলের পাশে ঘর ভাঙার ঘটনা নিয়েও ভর্ৎসনা করা হয় আদালতে। শুক্রবার আরজি করে হামলার ঘটনা নিয়ে নতুন করে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘পুলিশ নিজেকে রক্ষা করতে পারছে না। জনতাকে ঠেকাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা কী ভাবে রক্ষা করবে?’ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে এই হামলার আগাম কোনও খবর কেন ছিল না? প্রশ্ন তোলা হয়।
আদালত এদিন জানায়, একই ঘটনা হয় হুনুমান জয়ন্তিতে। গোয়েন্দা বিভাগ থাকে তো পুলিশের? এটা থেকে স্পষ্ট পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বিচারপতির প্রশ্ন, ‘১০০ জনের বেশি অনুমতি পায় না। সেখানে কেন হাজার জনকে অনুমতি দেওয়া হল?’ জবাবে রাজ্য জানায়, কয়েক হাজার লোক হঠাৎ চলে আসে। ভিডিয়ো দেখানো হবে, পুলিশ যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নিজে আহত। ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তবে সেমিনার রুমের ক্ষতি হয়নি।
আরজি কর হাসপাতালে সেমিনার হলের পাশের একটি ঘর ভাঙার ঘটনায় নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। আদালতের প্রশ্ন, কেন সেমিনার হলের কাছের ঘরটি এখনই ভাঙতে হল? এত তাড়াহুড়ো কেন? এই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে রাজ্যের কাছে জানতে চাইল আদালত। ঘটনাস্থল যে নিরাপদ রয়েছে, সেই বিষয়ে হলফনামা আকারে রাজ্যকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ।
তবে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটেছে যে সেমিনার হল, সেটি সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে বলে আদালতে দাবি করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। আদালতের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী জানান, চিকিৎসকদের দাবি মেনে ওই অংশে আর একটি বিশ্রামের ঘর তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজ শুরু হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ, পরবর্তী শুনানির দিন সিবিআই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে। আগামী বুধবার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।