আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরজি করে কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলা। রাজ্য জুড়ে আন্দোলন-প্রতিবাদ। আন্দোলনের মাঝেই ১৪ আগস্ট রাতে হামলা চলে আরজি করে। ভাঙচুর চলে হাসপাতালের একাধিক জায়গায়। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পথ অবরোধের পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের। এদিন শ্যামবাজারে ধর্নায় বসার কথা ছিল গেরুয়া শিবিরের নেতা মন্ত্রীদের। ইতিমধ্যে সুকান্ত মজুমদার হাজির না হলেও, বেশ কিছু নেতা-নেত্রী উপস্থিতও হয়েছিলেন ধর্নাস্থলে।
অভিযোগ ২ ঘন্টার প্রতিকী অবস্থানে বসার আগেই, খুলে দেওয়া হয় গেরুয়ায় শিবিরের ধর্না মঞ্চ। ঘটনাস্থলে হাজির বিপুল সংখক পুলিশ। উপস্থিত রয়েছে প্রিজন ভ্যানও। গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীদের মতে, বাধার মুখে পড়লেও, অবস্থান জারি থাকবে তাঁদের। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী বচসায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশের সঙ্গে। বেশ কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক করা হয় রুদ্রনীল ঘোষকেও। শ্যামবাজারের পাশাপাশি, নাগেরবাজারেও আন্দোলন-প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে কলকাতা পুলিশ সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে, হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৯জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও কয়েকজনের ছবি সমাজমাধ্যমে দিয়ে তাদের খোঁজ চাওয়া হয়েছে।
আরজি করে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় শুরু থেকেই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে আজ পথে নামছেন তিনি। ১৪ তারিখেই তিনি জানিয়েছিলেন, আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে শুক্রবার অর্থাৎ ১৬ আগস্ট বিকেল ৩টায় মৌলালির মোড় থেকে মিছিল করবেন তিনি। ১৭ আগস্ট, রাজ্য জুড়ে সব ব্লক, ওয়ার্ডে দু' ঘন্টা মিছিল আন্দোলন হবে রাম-বামের চক্রান্তের বিরুদ্ধে। ১৮ তারিখেও ধর্না হবে ব্লকে ব্লকে। ২০ তারিখে ফের পথে নামবে রাজ্যের শাসক দল।