জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আগেই দিয়েছেল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এদিন, ১৪ অগাস্টের ভাঙচুরের ঘটনায় সেমিনার হল সুরক্ষিত রয়েছে, কোনও প্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে কি না, তা সিবিআইকে দেখে আসার নির্দেশ দিল আদালত। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতা ও মৃত ডাক্তারের ছবি-পরিচয় ভাইরাল হওয়া নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি।
মামলার সওয়াল জবাবে একজন আইনজীবী বলেছিলেন যে নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। এটা বন্ধে নির্দেশ দেওয়া উচিত। মৃত চিকিৎসকের নাম এবং ছবি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে বিচারপতির মন্তব্য, 'আমরা অনুরোধ করছি মৃতাকে যাঁরা চেনেন তাঁরা তাঁর নাম এবং ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন না। সংবাদমাধ্যমও কোথাও তা প্রকাশিত করতে পারবে না। এটা করা যাবে না, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে।'
১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পুলিসের ভূমিকায় খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি করে ভাঙচুর এবং যন্ত্রপাতি নষ্ট করার চেষ্টা সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এটা রাজ্যের ব্যর্থতা। বুধবার রাতে কেন পুলিস পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারল না, প্রশ্ন তোলে আদালত। এত মানুষের জমায়েতে নিরাপত্তার কী বন্দোবস্ত ছিল, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করার প্রয়োজনীয়তা ছিল কি না, পুলিসের গোয়েন্দারা কী ভূমিকা পালন করেছেন, প্রশ্ন উঠেছে।
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেন, আপনারা যা করছেন সেটা ঘটনার পর। তার আগে থেকে কেন নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারলেন না? সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পরেই সেমিনার হলের একটা অংশ ভাঙচুর হয়। ১৪ অগাস্ট রাস্তায় নেমেছেন। সেই দিন রাতেই জন্য ৪০-৫০ জন তারা এসে ডাক্তারদের ওপর হামলা চালায়। পুলিস নিজেদের লুকায় অবস্থানকারীদের পিছনে। তারপর ভাঙচুর চালানো হয় ইমারজেন্সি বিভাগে। সিপি সেদিন বলেন, আমাদের লজেস্টিক সাপোর্ট নেই।