সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শ্যামবাজারে তুমুল উত্তেজনা। টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের। ঘটনাস্থলে রয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।
আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ধরনা কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের সামনে ধরনা মঞ্চ বাঁধে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার রাতে মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ হয়। শুক্রবার সকালে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা দেখেন মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এদিন ওই জায়গাতেই ফের মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, তাতে বাধা দেয় পুলিশ। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, শমীক ভট্টাচার্য। পরে একে একে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং রুদ্রনীল ঘোষরা পৌঁছন।
সময় যত গড়াতে থাকে, পুলিশ ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও বাড়তে থাকে। ঘটনাস্থল থেকে রুদ্রনীল ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে আটক করে পুলিশ। তাঁদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বলেই অভিযোগ।
গ্রেপ্তারির পর রুদ্রনীল বলেন, “রাস্তায় নেমে আসুন। দলমত, ঝান্ডা ছাড়া রাস্তায় নেমে আসুন। জোর করে একটা মেয়েকে মেরে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে। কত লালবাজারে জায়গা আছে? কতজনকে জেলে ভরবেন? এবার গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাস্তায় নামবে। সকলে গর্জে উঠুন। রাস্তায় নামুন। প্রতিবাদ করুন।” পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। “রোজ রাস্তায় থাকব”, বলে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেত্রী।