নব্যেন্দু হাজরা: খাস কলকাতায় মেট্রো স্টেশনে হেনস্তার শিকার রূপান্তরকামী। টিকিট পাঞ্চ করে ভিতরে প্রবেশের সময় তাঁর বুক স্পর্শ করার অভিযোগ আরপিএফের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অশালীন মন্তব্যও করা হয়েছে বলে দাবি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আর জি কর কাণ্ডে গর্জে উঠেছে বাংলা। প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজন রুপান্তরকামী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটনা অনভিপ্রেত ঘটনা। টিকিট থাকা সত্ত্বেও নির্যাতিতা ও তাঁর সঙ্গীদের রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনে মহিলা আরপিএফের বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। এর পর এক পুরুষ আরপিএফ এক রূপান্তরকামীর বুকে হাত দেয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় আপত্তিকর মন্তব্য করেন অভিযুক্ত। সঙ্গীরা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ালে তাঁদেরও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তাল হয়ে ওঠে রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন।
যাত্রী পরিষেবা ব্যাহত না করে নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতারা স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে প্রথমে লাভ হয়নি। তিনি খাতায় কলমে ‘অন ডিউটি’ থাকলেও স্টেশনে ছিলেন না বলেই দাবি। পরবর্তীতে প্রতিবাদের জেরে যাত্রী পরিষেবা ব্যাহত হলে ছুটে আসেন স্টেশন মাস্টার। জল গড়ায় ভবানীপুর থানা পর্যন্ত। পুলিশ গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বলে খবর। অভিযুক্ত অসীম ঘোষ এবং রামকিষেণ রামের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মেট্রোর তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আর পি এফের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওরা যদি থানায় অভিযোগ করে থাকে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আর পি এফের তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া হবে।”