• 'ভাবনায় ভুল ছিল...', আরজি করের তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণে ব্যাখ্যা দিলেন পুলিশ কমিশনার
    এই সময় | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে চর্চা। এর মাঝেই বুধবার রাতে মহিলাদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির মাঝে আরজি কর চত্বরে হামলা করে একদল দুষ্কৃতী। জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হয় পুলিশ। অভিযোগের আঙুল উঠছে পুলিশের দিকে। এমত অবস্থায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক বিষয়ে জবাব দিলেন কমিশনার বিনীত গোয়েল।খুনের ঘটনা আত্মহত্যা দেখানোর চেষ্টা?

    সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের বক্তব্য , ‘মৃতার পরিবারকে পুলিশ ফোন করেনি। আত্মহত্যার কথাও পুলিশ বলেনি। এটা নিয়ে অযথা গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’ পুলিশের দাবি, প্রথমে ইউডি কেস (আনন্যাচারাল ডেথ কেস) দেওয়া হয়েছিল, তার মানে এটাকে আত্মহত্যা প্রমাণের চেষ্টা নয়। দেশের যে কোনও জায়গার আইনজ্ঞকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে। পরে প্রমাণাদির ভিত্তিতে খুন ও ধর্ষণের মামলা যুক্ত করা হয়েছে।

    আরজি করে হামলার ঘটনায় পুলিশ ব্যর্থ?

    সিপি বলেন, ‘কোনও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কোনও জমায়েত হলে, তা নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলক কঠিন হয়। কারণ, সেখানে কোনও নেতা থাকে না। নেতা থাকলে তাঁদের বর্ণনা অনুযায়ী পুলিশ মোতায়েন করা যেত। সারা শহর জুড়ে সে দিন নানা রকম জমায়েত হয়েছিল।’ তবে, কলকাতা পুলিশ এদিন মেনে নেয়, ‘আরজি করের সামনে আন্দোলন যে আচমকা হিংসাত্মক হয়ে উঠবে, ভাবতে পারিনি। আমাদের ভাবনায় ভুল ছিল।’

    প্রভাবশালীকে রক্ষার চেষ্টা?

    কলকাতার পুলিশ কমিশনার জানান, প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়নি। যে কোনও প্রভাবশালী এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে গ্রেপ্তার করা হবে। সেদিনের আক্রমণের ঘটনায় যতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সেখান থেকে কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের বিষয়টি উঠে আসেনি। এরকম কোনও প্রভাবশালী থাকলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় যুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।

    গুজব নিয়ে চিন্তা

    ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিশেষত সমাজ মাধ্যমে একাধিক বিষয় নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে পুলিশের দাবি। কমিশনার বলেন, ‘নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। নানা ভাবে সেগুলির বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কেউ বলছেন গণধর্ষণ হয়েছে। কেউ বলছেন, ১৫০ গ্রাম বীর্য পাওয়া গিয়েছে। এগুলির কোনও ভিত্তি নেই। কোথা থেকে এল এই তথ্য?’

    সিবিআই তদন্তে ভরসা

    কলকাতা পুলিশের তরফে সিবিআইকে তদন্তে সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানান গোয়েল। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। আমাদের উপর আপনাদের ভরসা নেই। অন্তত ওঁদের উপর ভরসা রাখুন। তথ্যপ্রমাণ-সহ ওরা নিশ্চিয়ই সুরাহা করবে।’
  • Link to this news (এই সময়)