• ভোটের সময় দেখা যায় TMC কাউন্সিলরের সঙ্গে, আরজি করে ভাঙচুরে গ্রেফতার সিঁথির যুবক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে হামলায় তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে বৃহস্পতিবারই সরব হয়েছে বিজেপি। এবার সেই ঘটনায় পুলিশের চিহ্নিত করা এক যুবকের গ্রেফতারিতে আরও জোরালো হল সেই প্রশ্ন। সৌমিক দাস নামে দমদমের সিঁথি এলাকার বাসিন্দা এক যুবক শুক্রবার পুলিশের সামনে আত্মসমর্পণ করে। স্থানীয়দের দাবি, যুবক স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর।

    আরজি করে হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ছবি পোস্ট করা শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সৌমিক দাস নামে ওই যুবকের দাবি, তার মধ্যে তাঁরও ছবি রয়েছে। তাঁকে ফোন করেছিল পুলিশ। নাগেরবাজার থানা থেকে ফোন করে তাঁকে লালবাজারে দেখা করতে বলা হয়। তবে লালবাজারে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সৌমিক। সেখান থেকে যান নাগেরবাজার থানায়। নাগের বাজার থানা থেকে তাঁকে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় লালবাজারে।

    সাংবাদিকদের ধৃত জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জিমের বন্ধুদের সঙ্গে আরজি কর মেডিক্যালের সামনে প্রতিবাদে যোগদান করতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ দেখেন, হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ছে উন্মত্ত জনতা। তাদের সঙ্গে তিনিও ঢুকে পড়েন হাসপাতালের ভিতরে। এর পর আবেগ সামলাতে না পেরে ভাঙচুর শুরু করেন। সেই সময় তাঁর ছবি ধরা পড়ে ভিডিয়োতে।

    স্থানীয়দের দাবি, ধৃত সৌমিক স্থানীয় কাউন্সিলর রাজু সেনশর্মার ঘনিষ্ঠ। ভোটের সময় কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা যায় তাঁকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজু সেনশর্মা। তিনি বলেন, শুনলাম ছেলেটা আমার এলাকায় থাকে। তার পর দেখলাম না, ও এখন অন্য জায়গার বাসিন্দা। এসব যারাই করে থাকুক, তাদের শাস্তি চাই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)