• শান্তনু সেনের পর TMCর তালিকা থেকে নাম কাটা গেল স্ত্রী কাকলিরও
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • স্বামীর ওপর কোপ পড়েছিল বৃহস্পতিবারই। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে তৃণমূলের কোপে স্ত্রীও। শান্তনু সেনের পর এবার তাঁর স্ত্রী কাকলি সেনের ওপর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করল তৃণমূল। খাতায় কলমে না হলেও সমঝে দেওয়া হল তাঁকে। কাকলি দেবীকে কলকাতা পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলরদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পেশায় চিকিৎসক কাকলি সেন। তাঁর স্বামী শান্তনু সেন দলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে মেয়েদের রাত দখল অভিযানে যোগদান করেছিলেন তিনিও। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সৌমিলি। এর জেরেই তিনি দলের রোষানলে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাত দখলের কর্মসূচিতে যোগদানের আগে কাকলি দেবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয়। এটা একটা নাগরিক প্রতিবাদ। সমাজের সর্বস্তর থেকে এর প্রতিবাদ হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ হচ্ছে। আমি ও আমার কন্যা প্রতিবাদে সামিল হব। শুক্রবার তিনি বলেন, দল আমাকে কিছু জানায়নি। আমার মেয়ে কয়েক মাস পরে পাশ করে যাবে। ওকেও নাইট ডিউটি করতে হবে। মা হয়ে তো ওকে নিশ্চিন্তে নাইট ডিউটি করতে পাঠাতে পারব না।

    বলে রাখি, বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করে শান্তনু সেনকে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তার আগে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেন শান্তনুবাবু। বলেন, আরজি করে পড়াশুনো রসাতলে গেছে। ওখানে অধ্যক্ষকে টাকা না দিলে অনার্স পাওয়া যায় না। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, কিছু মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝাচ্ছেন যে সন্দীপ ঘোষই একমাত্র তৃণমূলপন্থী অধ্যক্ষ। শান্তনু ও কাকলি দু'জনেই আরজিকরের প্রাক্তনী। তাঁদের কন্যা সৌমিলি সেই প্রতিষ্ঠানেরই ছাত্রী।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)